আমরা সবাই তারুণ্য ধরে রাখতে চাই। কিন্তু আমাদের কিছু ভুলের কারণে অল্প বয়সেই ত্বকে ভাঁজ পড়ে যায়। ফলে বয়সের আগেই বয়স্ক দেখায়। পর্যাপ্ত ঘুমের সঙ্গে স্বাস্থ্যের সম্পর্ক তো আছেই, রয়েছে ত্বকের সুস্থতার সম্পর্কও। জানেন কি, ঘুমের ভুল অভ্যাসের কারণেও আমাদের ত্বক বুড়িয়ে যেতে পারে। নিশ্চয়ই জানেন, সঠিক সময়ে এবং ঠিকমত ঘুমালে শরীর ভালো থাকে। এমনকি ঘুমানোর জন্যই আমাদের ত্বক ভালো থাকে। ত্বক কুঁচকে যাওয়া, ত্বকে অত্যধিক ব্রণ হওয়া এই সব সমস্যা বাড়বে ঠিক ভঙ্গিতে না ঘুমালে। ঘুমানোর ভঙ্গি ঠিক না হলে, ত্বকের গ্রন্থিগুলো ঠিক মতো অক্সিজেন পায় না। তাই নানা ত্বক সংক্রান্ত সমস্যা তৈরি হয়।
ঘুমের সঙ্গে ত্বকের সম্পর্ক রয়েছে। ঘুমানোর ভঙ্গি ঠিক না হলে ত্বকের গ্রন্থিগুলো ঠিক মতো বাতাস পায় না। এজন্য ত্বকসংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়। সেই সঙ্গে অল্পতেই বয়স্ক দেখায়। চলুন তবে এবার ঘুমানোর সঠিক উপায়গুলো জেনে নেয়া যাক-
পাশ ফিরে ঘুমানো
ত্বক ভালো রাখার জন্য এই ভঙ্গিতে ঘুমাতে পারেন। এভাবে ঘুমানোর ফলে ত্বকের ক্ষতি কম হয়। তবে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কোনো ক্রিম লাগালে তা বালিশে লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার খুব চাপ দিয়ে ঘুমালে মুখের একপাশে বলিরেখা ও ত্বক কুঁচকে যাওয়ার মতো বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
বালিশ জড়িয়ে ঘুমানো
অনেকে পাশ ফিরে বালিশ জড়িয়ে ঘুমাতে ভালোবাসেন। এতে করে ত্বকে দাগ ও চুলকানির সমস্যা হয়ে থাকে। অনেক সময় ব্যাকটেরিয়া থাকে। এ কারণে পরিষ্কার বালিশের কভার পরিয়ে তারপর ঘুমাতে পারেন। এছাড়া রাতে কোনো ক্রিম মেখেও ঘুমাতে পারেন।
পেটে চাপ দিয়ে উপুড় হয়ে ঘুমানো
অনেক মানুষই এভাবে ঘুমাতে ভালোবাসেন। হয়তো তারা জানেন না যে, এভাবে ঘুমানোয় অনেক বেশি ক্ষতি হয়ে থাকে। ত্বকের গ্রন্থিগুলো ঠিকমত অক্সিজেন পায় না। বালিশে মুখ গুঁজে ঘুমানোর ফলে মুখের ত্বকে বাতাস প্রবেশ করতে পারে না। রক্তসঞ্চালনও ঠিকমত হয় না। চোখের তলায় ফোলা ভাবসহ বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে। তাই এভাবে না ঘুমানোই ভালো।
ঘুমানোর জন্য সঠিক উপায়
বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, চিৎ হয়ে শোওয়া ঘুমানোর জন্য এটাই ভালো উপায়। পিঠ দিয়ে শোওয়ার ফলে ত্বকের সকল গ্রন্থি ভালোমতো অক্সিজেন পায়। এতে করে রক্ত সঞ্চালনও ঠিক মতো হয়। নিয়মিত এভাবে ঘুমানোর ফলে ত্বকে কোনো প্রকার দাগ পড়ে না। তবে শুধু ঘুমানোর উপায়ই সবকিছুর উপরনির্ভর করেনা। ঘুমানোর পরিবেশও নির্ভর করে।