নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালকের (আরডি) দায়িত্ব গ্রহণ করলেন ড. সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল। আগামী আগামী ৫ বছর এই পদে থাকবেন। গত ১ জানুয়ারি সংস্থাটির আঞ্চলিক কমিটির অধিবেশনে তাকে এ পদে মনোনীত করা হয়।
পুতুল বাংলাদেশের প্রথম ও ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের দ্বিতীয় নারী আঞ্চলিক পরিচালক। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা ও একজন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। তিনি অটিজমের ভূমিকার জন্য বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছেন। তিনি ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালকের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ২২-২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ডব্লিউএইচওর নির্বাহী বোর্ডের ১৫৪তম অধিবেশনে ড. সায়েমা ওয়াজেদ পুতুলের এ মনোনয়ন অনুমোদন করা হয়। তিনি ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের বিদায়ী আঞ্চলিক পরিচালক ড. পুনম ক্ষেত্রপাল সিংয়ের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
নয়াদিল্লিতে এ ভোটগ্রহণে বাংলাদেশ, ভুটান, গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়া (ডিপিআরকে), ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও তিমুর-লেস্তে অংশ নেয়। এতে বিশিষ্ট অটিজম বিশেষজ্ঞ ওয়াজেদ আটটি ভোট পান। অপর প্রার্থী নেপাল মনোনীত ডা. শম্ভু প্রসাদ আচার্য্য পেয়েছেন দুটি ভোট।
ড. পুতুল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ব্যারি ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন ও ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংগঠনিক নেতৃত্বে ডক্টরেট প্রার্থী।
২০১৯ সাল থেকে ড. সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল মানসিক স্বাস্থ্য ও অটিজম সম্পর্কিত ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালকের অন্যতম উপদেষ্টা ছিলেন এবং ২০১৪ সাল থেকে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ডব্লিউএইচওর বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা প্যানেলের সদস্য ছিলেন। সায়েমা ওয়াজেদ ২০১৭ সালে ডব্লিউএইচও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অটিজম বিষয়ক শুভেচ্ছা দূত মনোনীত হন। তিনি একই বছর প্রকাশিত অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার সম্পর্কিত ডব্লিউএইচও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক কৌশলপত্রের সহ-লেখক।
তিনি গ্লোবাল হেলথ প্রোগ্রাম চ্যাথাম হাউস, ইউকে’র একজন সহযোগী ফেলো, অটিজম ও এনডিডি, ঢাকা বাংলাদেশের জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন এবং শুচনা ফাউন্ডেশন, ঢাকা, বাংলাদেশের চেয়ারপারসন।
পুতুল অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডার নিয়ে কাজের জন্য ২০১৪ সালে ডব্লিউএইচও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া আঞ্চলিক কার্যালয় প্রদত্ত ‘এক্সিলেন্স ইন পাবলিক হেলথ’ পুরস্কার এবং ২০১৬ সালে ডা. ইব্রাহিম মেমোরিয়াল কাউন্সিল, বাংলাদেশ প্রদত্ত ইব্রাহিম মেমোরিয়াল গোল্ড মেডেল পান। ২০১৭ সালে তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অটিজম নিয়ে কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ মার্কিন সংস্থা শেমা কোলাইনু থেকে আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার পান। ২০১৯ সালে তাকে গ্লোবাল মেন্টাল হেলথ প্রোগ্রামস, কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি, ইউএসএ ইনোভেটিভ উইমেন লিডারস ইন গ্লোবাল মেন্টাল হেলথ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে।