খুলনার কয়রা উপজেলার বামিয়া গ্রামে দুর্বৃত্তরা স্বামী, স্ত্রী ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার পর লাশ পুকুরে ভাসিয়ে দিয়েছে। আজ (মঙ্গলবার ২৬ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে কয়রা উপজেলার বামিয়া গ্রামের বাগালী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের পাশের পুকুরে তাদের লাশ ভাসতে দেখা যায়। পরে পুকুর থেকে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন, কয়রা উপজেলার বামিয়া গ্রামের হাবিবুল্লাহ (৩৬), তার স্ত্রী বিউটি (৩৪) ও তাদের মেয়ে টুনি (১২)।
স্থানীয় বামিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য আতিয়ার রহমান জানান, ৭টার দিকে স্থানীয় দুজন ব্যক্তি বাগালী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের পাশের পুকুরের পানিতে তাদের লাশ ভাসতে দেখে। নিহতের মধ্যে হাবিবুল্লাহর হাত-পা বাধা ছিল, সমস্ত শরীরে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং আঘাতে মাথা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া তার মেয়ে টুনির কপালেও ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহত হাবিবুল্লাহ কৃষিকাজ ও রাজমিস্ত্রির জোগালের কাজ করতেন। তাদের মেয়ে টুনি স্থানীয় জায়গীরমহল উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
স্থানীয় গ্রাম্য (দফাদার) পুলিশ আব্দুল গফুর বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে তিনজনের মরদেহ দেখতে পেয়ে প্রথমে ঘটনাটি বাগালি ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান ও কয়রা থানা পুলিশকে জানাই।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. মো শাহাদাৎ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কী কারণে এবং কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে এখনো জানতে পারিনি। ঘটনার কারণ জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা আসল ঘটনার কারণ জানার চেষ্টা করছি।