আমাদের চুল বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বিভিন্ন ভাবে। তাছাড়া প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজের অভাবে শরীরে যেমন নানা সমস্যা বাসা বাঁধে, তেমনি এসব উপাদানের অভাবে চুল পড়া, শুষ্কতা, অমলিন এবং আগা ফাটার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। ভয় পাবার কোন দরকার নাই, এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তির পথ বাতলে দিয়েছেন আমেরিকা হেয়ারস্টাইল ইন্টারন্যাশনাল। গবেষনায় দেখা গেছে কোন কোন প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজের অভাবে চুল পড়া, শুষ্কতা, অমলিন এবং আগা ফাটার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
> ভিটামিন এ
> ভিটামিন ই
> ভিটামিন বি
> ভিটামিন ডি
> ভিটামিন সি
> জিঙ্ক
> লৌহ
- ভিটামিন এ : ভিটামিন ‘এ’ সাধারণত ত্বকের গ্রন্থিগুলোয় সিবাম নামক তেল উৎপাদন করে। যা মাথার ত্বককে আর্দ্র রাখে এবং সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এই উপাদানটি মাথার ত্বকে ‘ফ্রি রেডিকেল’-এর বিরুদ্ধে কাজ করে। ফলে চুলের চিটচিটেভাব কমে। তাই সুস্থ চুলের জন্য ভিটামিন ‘এ’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গাজর, পেঁপে, লাল মরিচ, মিষ্টি আলু, টমেটো, কলি, পালংশাক ইত্যাদি ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার।
- ভিটামিন ই : ভিটামিন ‘ই’-এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। এক গবেষণা বলছে, কমপক্ষে টানা আট মাস ভিটামিন ‘ই’ সমৃদ্ধ খাবার খেলে চুল ৩৪.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। পালংশাক, কাঠবাদাম, ভেষজ তেল যেমন- সূর্যমুখী, ভুট্টা, জলপাইয়ের তেল ইত্যাদি ভিটামিন ‘ই’-এর উৎস।
- ভিটামিন বি : ভিটামিন ‘বি’ প্রাকৃতিকভাবে চুলের ফলিকল মজবুত করে। ফলে চুল পড়া কমে আসে। পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধি ঘটায় ও চুলের ক্ষয় পূরণ করে। শস্য, পাতাবহুল সবজি, বাদাম ইত্যাদি ভিটামিন ‘বি’-এর উৎস।
- ভিটামিন ডি : এটা চুল পড়া কমায় এবং মাথার ত্বকের শুষ্কতা রোধ করে। পাশাপাশি চুলের ফলিকল গঠনে সহায়তা করে। সূর্যালোক ভিটামিন ডি’-এর ভালো উৎস।
- ভিটামিন সি : একে রোগ প্রতিরোধের অন্যতম উৎস হিসেবে ধরা হয়। ভিটামিন সি ‘ফ্রি রেডিকেল’ থেকে সুরক্ষিত রাখে। ফলে চুলপড়া কমে, এর বৃদ্ধি ঘটে এবং মলিনভাব হ্রাস পায়। ভিটামিন ‘সি’-এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুল শক্ত করে ও ঝলমলেভাব আনে। পেয়ারা, আমলকী, স্ট্রবেরি, লেবু ও সবজি যেমন- ব্রকলি, আলু, মরিচ ইত্যাদি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার।
- জিঙ্ক : মাথার ত্বকের সিবাকাস গ্রন্থিতে তেল এবং টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন বাড়ায়। ডার্ক চকোলেট, বাদাম, বেইক করা মটর, মটর, সবজি ইত্যাদি জিঙ্কের ঘাটতি কমায়।
- লৌহ : লোহিত রক্তকণিকার মাধ্যমে অক্সিজেন দেহের কোষে বহন করে নিয়ে যায় লৌহ। এটা দেহ কার্যকর রাখার পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধিতে বেশ সহায়ক। সবুজ পাতাবহুল সবজি যেমন- কিডনি বিন, পালংশাক, ব্রকলি, মটর, বাদাম ইত্যাদি দেহের লৌহের চাহিদা পূরণ করে।
প্রয়োজনীয় ভিটামিনের পাশাপাশি খনিজের ঘাটতি মেটানো, শরীরচর্চা করা, মানসিক চাপমুক্ত জীবনযাপন করা চুল উজ্জ্বল, সুস্থ ও ‘বাউন্সি’ করতে ভূমিকা রাখে। মূল কথা, চুলের সুস্বাস্থ্যে নিয়মিত পুষ্টির চাহিদা মেটানো উচিত।