২০০৯ সালে কামাল কাদি এবং ইকবাল কাদি নামে, ২ ভাই US তে Money in Motion LLC একটি স্টাপ প্রতিষ্ঠা করেন।
Money In Motuon LLC নিক্স উসে যুক্ত ছিলেন জিনি ক্যানিয়াতে মোবাইল মানি ট্রান্সফার সার্ভিস m-pesa লঞ্চ করেছিলেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো ভালো একটি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দেয়া।
সেই সময় পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে, ভিসা, মাষ্টার, পেপাল এর মতো সার্ভিস গুলো খুবই জনপ্রিয় পাচ্ছিলো।
কিন্তু ৩য় বিশ্বের বেশি সময় যথাযথ টেকনলোজি আর ইনফাষ্টার অভাবে, এসব সার্ভিস বাংলাদেশে আসতে পারছিলো না।অন্য দিকে মোবাইল ফোনের ইউজার বাড়ছিলো, তাই তারা বাংলাদেশের মার্কেট এ মোবাইল মানি ব্যাংকিং নিয়ে কাজ করে যাচ্ছিলো।
কিছু দিন পর বাংলাদেশ সরকার ক্রতিক বাংলাদেশ ব্যাংক অওতায় অন্য অন্য ব্যাংক গুলো কে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস চালু করার অনুমতি দেয়া হয়।তাই ২০১০ সালে ব্রাক ব্যাংক Money In Motuon LLC সাথে যৌথ উদ্যোগে তাদের মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস বিকাশ চালু করে।
অন্য অন্য ব্যাংক থেকে তাদের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করতে তরপর ছিলো না।তখন ব্রাক ব্যাংক এই সুযোগ টি কাজে লাগায়।
বিকাশ কার্যক্রম শুরু করার Money In Motuon LLC ৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেন।এবং কামাল কাদের কে বিকাশ কোম্পানির CEO ঘোষণা করা হয়।
২০১১ সালে জুলাইতে রবি আজিয়াটা লিমিটেড কে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর সহযোগী হিসেবে নিয়ে অনুষ্ঠানিক ভাবে কার্যক্রম শুরু করে বিকাশ। তার ঠিক কয়েকদিনের মাথায় গ্রামীণফোন, এয়ারটেল,বাংলালিংক সাথে চুক্তি করেন
এবার আপনাদের জানাবো কিভাবে বিকাশ উন্থান হয়।বাংলাদেশের শতকরা ৭০% মানুষ গ্রাম অঞ্চল বসবাস করেন।
এবং তারা সাধারণ ব্যাংকিং সেবা নিয়ে অনেক অংশে পিছিয়ে ছিলো।যদিও এদের মধ্যে ৬৮% শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার কারি।
এই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে বিকাশ শুরুতেই গ্রাম অঞ্চল মানুষ দের টার্গেট করে। সেজন্য তাদের শুরু দিকে প্রমোশন গুলো ছিলো গ্রাম কেন্দ্রিক ছিলো।
শুরুতেই বিকাশ ৫০০ জন এজেন্ট নিয়ে তাদের যাএা শুরু করে এবং কিছু দিনের মধ্যেি বিকাশ সবার মাঝে অস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়।
মাএ ১ বছরের মধ্যে তাদের গ্রাহক সংখ্যা ২০ লাখের বেশি পৌছে যায়।এরপর বিকাশ কে আর পিছে ফিরে তাকাতে হয় নি।
২০১৩ সালে তাদের ইউজার সংখ্যা ১ কোটি ছাড়িয়ে যায়।শুরুতেই বিকাশ টাকা পাঠানো এবং গ্রাহন করার সুবিধা দিয়ে থাকলেও ধিরে ধিরে মোবাইল ওয়ালেট সেবা দিতে শুরু করে।
যার ফল শ্রুতিতে তখন ৭৫ টি প্রতিষ্ঠান প্রায় ৬০০ টি দোকান আউটলেট বিকাশ পেমেন্ট গ্রহণ করা যেত। সেই বছরে ডিসেম্বরে প্রতিদিন প্রায় ১ মিলিয়ন ডলার ট্রানজেকশন বিকাশ এর মাধ্যমে।
২০১৫ সালে বিকাশ ইউজার সংখ্যা ২ কোটি তে পৌঁছে যায়।এবং দেশ ব্যাপি এজেন্ট সংখ্যা ১লাখ ১৬ হাজারে।
তখন পর্যন্ত বিকাশের রিভিউ নিউ সংখ্যা ছিলে ১ হাজার ৫৯ কোটি টাকা।২০১৬ সালে বিকাশ থেকে প্রতি দিন প্রায় ৩৬ লাখ টাকা লেনদেন হচ্ছিলো।
৭০০ টি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩০ হাজার আউটের বিকাশ মাধ্যমে পেমেন্ট নেয়ার সুবিধা পাচ্ছিলো ইউজার রা।তার একবছর পর ২০১৭ সালে বিকাশ রিভিনিউ বেড়ে দাড়ায় প্রায় ১ হাজার ৪শত ৮৪ কোটি টাকা দাড়ায়।
সেই সময় বিকাশ মাধ্যমে দৈনিক প্রায় ৪৫ লাখ লেনদেন হতো, এবং দৈনিক লেনদেন পরিমাণ ছিল প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা। ২০১৮ সালেই বিকাশ তাদের মোবাইল এ্যাপসটি লঞ্চ করে এবং সে বছরি বেস্ট এনেবেসন চিন্হিত করে বাংলাদেশ ইনিবেসন এওয়ার্ড দেয়া হয়।
২০১৯ সালে বাংলাদেশের মোবাইল Financial Services মাধ্যমে দৈনিক লেনদেন পরিমাণ ছিলো। গড়ে ১ হাজার ২শত ৬৪ কোটি টাকা।
যারধ্যে বিকাশ থেকে লেনদেন হয়৷ ৯০০ কোটি টাকা। একি বছর মোবাইল Financial Services বিকাশ কে প্রথম এওয়ার্ড দেয়া হয়।
২০১৯ সালে বিকাশ ইউজার সংখ্যা প্রায় ৩.৮ কোটি সংখ্যা ছাড়িয়ে যায়। এবং বিকাশ এজেন্ট সংখ্যা ২ লাখ ৩০ হাজারে। গত বছর বিকাশ রিভিনিউ সংখ্যা ছিলো ২ হাজার ৪ শত ১৬ কোটি টাকা।
শুরুতেই বিকাশ ক্যাশ ইন ক্যাশ আউট এবং সেন্ড মানি সিস্টেম থাকলেও ধীরে ধীরে অনেক সার্ভিস যুক্ত করতে থাকেন। বিকাশ মাধ্যমে রেমিট্যান্স সুবিধাও দিচ্ছে।
শুরুতেই যুক্ত রাজ্য এবং আরব আমিরাতে পার্টনার মাধ্যমে বিকাশ টাকা পাঠানো যায়। বর্তমানে ৯৩ টি দেশ থেকে বিকাশ টাকা রিসিভ করা যায়।
২০২০ এপ্রিল মাসে ১০০ কোটি টাকা রেমিট্যান্স এসেছে। বর্তমানে দেশ ব্যাপি ১৫০ টির ও বেশি কাস্টমার সার্ভিস টাচ পয়েন্ট রয়েছে ২০০ টির ও বেশি ডিষ্টিভিউটার রয়েছে।
হেল্পলাইনের মাধ্যমে ১২ হাজার গ্রহণ সেবা দিচ্ছে বিকাশ। ২০১৯ সালে বিকাশ ৬২.৫ কোটি টাকা লছে ছিলো। বিকাশ শুরু থেকেই বেশি একটা প্রফিট করতে পারছিলো না।
বিকাশ বিভিন্ন ধরনের বিঙ্গাপন গ্রহণ দের মন করা জন্য বিভিন্ন অফার জন্য প্রচুর টাকা খরচ করে ছিলো। যদিও ২০২০ এর শুরু দিকে ১৭.৫ কোটি টাকা প্রফিট করে ছিলো, বিকাশ এর মতো এত বড় কোম্পানির এই সংখ্যারটি খুবই নগন্য।
২০২০ এ বিকাশ Total Assets আছে ৫ হাজার ৩শত কোটি টাকা।
অশা করা যায় বিকাশ লেনদেন সংখ্যা ১ হাজার কোটি এবং ইউজার সংখ্যা ৪ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। এর মধ্যেই রকেট /শিওরক্যাশ /ইউপে/ওকে ওয়ালেট/ নগদ এবং আরো বেশ কিছু ইওয়ালেট সার্ভিস যেমনঃ আইপে/জিপে মার্কেটে আসে। বাংলাদেশ মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ৮০%শতাংশ মার্কেট শেয়ার হলো বিকাশের। দিকে রকেট বিকাশ আগে মার্কেট আসলেও রকেট মার্কেট শেয়ার ১৭ শতাংশ।
বিকাশ নিয়ে আপনার কোনো মতামত থাকলে কমেন্ট জানাতে ভূলবেন না।