বিপ্লব কুমার পাল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আবারও আলোচনার কেন্দ্রে ধর্মীয় সংখ্যালঘু ইস্যু। বলা হচ্ছে, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও অধিকারের প্রশ্নে দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ রক্ষা করেনি। পাশাপাশি হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদও দাবি আদায়ে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে। কিন্তু নির্বাচনের আগে কেন ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে হৈ চৈ? গেল ১৫ বছরে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার ও নিরাপত্তা কিছুই কী নিশ্চিত হয়নি? সনাতন ধর্মালম্বীরা কী সত্যিই ভালো নেই? ১৯৭৫ সাল থেকে ২০০৮ সালের মতো দলে দলে দেশান্তরি হচ্ছে? সংসদে কী ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পর্যাপ্ত প্রতিনিধি নেই?
দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, দেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও অধিকারের প্রশ্নে দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ রক্ষা করেনি—এমন অভিযোগ তুলেছেন সংখ্যালঘু নেতারা। অসন্তোষ ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের মধ্যে। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা রাজপথে আন্দোলনও চালিয়ে যাচ্ছেন। জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন এবং সংখ্যালঘু বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়নের প্রতিশ্রুতিও ছিল আওয়ামী লীগের ইশতেহারে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি। এপ্রসঙ্গে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্তের বক্তব্যে বলা হয়েছে, অবজ্ঞা, অবহেলা ও সংখ্যালঘুদের নাগরিক হিসেবে গণ্য না করার মানসিকতা থেকে এসব দাবি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’। সেখানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য কয়েকটি গুরত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এরমধ্যে অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল- একটি জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করে সংখ্যালঘু বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা। এছাড়া প্রতিশ্রুতি ছিল – অর্পিত সম্পত্তি সংশোধনী আইন দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকৃত স্বত্বাধিকারীদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা; বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন এবং সমতলের ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন। এসব দাবি বহু দিন থেকে করে আসছিল বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা।
বর্তমান সরকারের শেষ সময়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য করা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়ছেন অনেকে। এসব দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলনও করছে কয়েকটি সংগঠন। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আড়াই লাখ মানুষের স্বাক্ষরসংবলিত স্মারকলিপি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দিয়েছে। এছাড়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ১২ এপ্রিল, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ১৯ ফেব্রুয়ারি এবং আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কবির বিন আনোয়ারের সঙ্গে ১৭ জুলাই বৈঠক করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও তার নেতৃত্বে সংখ্যালঘু সংগঠনগুলোর ঐক্যমোর্চার নেতারা। পাশাপাশি সরকারকে চাপ দিতে আগামী ৪ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
আওয়ামী লীগ সরকার কী ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি কী কিছুই বাস্তবায়ন করেনি? আসুন পরিসংখ্যান দেখা যাক, বর্তমান সরকার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য কী করেছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য দীর্ঘ ৬০ বছরের পুরানো সমস্যা মিটিয়ে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরকে দেড় বিঘা জমি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সম্পত্তির উত্তরাধিকারীদের সম্পত্তি মালিকানা দেওয়ার ক্ষেত্রে হেবা আইনের নিয়মমাফিক নামমাত্র অর্থের বিনিময়ে সম্পত্তি হস্তান্তর করার সমান সুযোগ দেওয়া হয়েছে। হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রি আইন; শত্রু সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন করা হয়েছে। মন্দির সংস্কার, মন্দিরভিত্তিক শিক্ষাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম করছে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট। খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এবং সালের বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট একই ভাবে কাজ করছে।
আগে সংসদে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য ছিলেন মাত্র দুজন। এখন সংসদে সদস্য ২৩ জন। বিগত সরকারের সময়ে শুধু নামের কারণে অনেক যোগ্য ব্যক্তিকেও চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হয়নি, নিয়োগ হলেও পদোন্নতি হয়নি। জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে অংশীদারত্ব ও প্রতিনিধিত্ব গত ১৪ বছরে এ ক্ষেত্রে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। আগের চেয়ে প্রশাসনে সংখ্যালঘুদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য কেউ ছিলেন না, এখন হচ্ছেন। বর্তমান সরকারের সময়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে প্রধান বিচারপতি হয়েছেন।
মূলত অর্পিত সম্পত্তি সংশোধনী আইন দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকৃত স্বত্বাধিকারীদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা এবং জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আওয়ামী লীগ, সেটিই শুধু বাস্তবায়ন হয়নি। এছাড়া ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও অনুন্নত সম্প্রদায়ের জন্য আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বেশিরভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে। যেমন- তিন পার্বত্যজেলার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্য রাখা; ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জমি, জলাধার ও বন এলাকায় অধিকার সংরক্ষণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ; ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, দলিত ও চা-বাগান শ্রমিকদের সন্তানদের শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে বিশেষ কোটা; ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও অন্য সম্প্রদায়ের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও জীবনধারার স্বাতন্ত্র্য সংরক্ষণ করা।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এখন প্রধান দাবি জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা। যদিও এবিষয়ে মতামত জানতে সংগঠনটির নেতাদের গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাদের কথা মন দিয়ে শুনেছেন এবং তা বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনাও দিয়েছেন। তখন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, অত্যন্ত হৃদ্যতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। ঐক্য পরিষদের পক্ষে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বিগত ১৪ বছরে দেশের যে প্রভূত উন্নয়ন ঘটেছে তার প্রশংসা করার পাশাপাশি ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বিরাজমান সমস্যাসমূহ প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। কিন্তু বাংলাদেশে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমলাতন্ত্রিক জটিলতা থাকে। আর তার দুর্নাম বইতে হয় সরকারি দলকে। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কবির বিন আনোয়ার বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যে প্রতিশ্রুতি আছে, তার প্রতিটি বিষয় নিয়ে কাজ চলছে। যেমন আইনগুলো প্রণয়ন করা, কোনোটা সংসদে আছে, কোনোটা আইন মন্ত্রণালয়ে আছে, কোনোটা বিল আকারে পেশ হয়েছে, কোনোটা ধর্ম মন্ত্রণালয়ে পেন্ডিং (ঝুলে) আছে।
জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন না হওয়ার কারণে আওয়ামী লীগ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য কিছুই করেনি তা বলা ঠিক হবে না। কারণ জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন কীভাবে গঠন করা হবে, এর পরিধি বা কাজ কী হবে নানান বিষয় জড়িয়ে আছে। সবাই দাবি জানিয়েছে কিন্তু কেউ এর রূপরেখা দেয়নি যে কেমন হতে পারে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন। তাই সরকারকে নানা উপায় ও পথ দেখতে হচ্ছে।
ভারতে ১৯৯২ সালে ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনরিটিস (এনসিএম) গঠন করা হয়। এই কমিশন সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের অগ্রগতি মূল্যায়ন করে। সংবিধানে প্রদত্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করে। কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য সরকার কর্তৃক সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষার জন্য কার্যকর সুপারিশ করে। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে যে কোনো বৈষম্যের কারণে তৈরি হওয়া সমস্যা নিয়ে গবেষণা করে এই কমিশন। এছাড়া সংখ্যালঘুদের আর্থ-সামাজিক ও শিক্ষাগত উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে অধ্যয়ন, গবেষণা ও বিশ্লেষণ পরিচালনা করে। এছাড়া ভারতে রয়েছে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। যার অধীনে রয়েছে, সংখ্যালঘু জাতীয় কমিশন, জাতীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও অর্থ অধিদপ্তর, হজ কমিটি, মৌলানা আজাদ শিক্ষা ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল ওয়াকফ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লি., দর্গা খাজা সাহেব আজমীর, কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিল, ভাষাগত সংখ্যালঘুদের কমিশনার।
পাকিস্তানেও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সংরক্ষণের জন্য আলাদা কমিশন আছে। ২০১৪ সালে পেশোয়ার গির্জায় বোমা হামলার মামলার পর পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট সংখ্যালঘুদের জন্য একটি জাতীয় কাউন্সিল গঠন করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল। পরে ২০২০ সালে গঠন করা হয় পাকিস্তান ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনরিটিজ। তিন বছর মেয়াদের এই কমিশনে চেয়ারম্যানসহ ছয়জন সরকারি এবং ১২ জন বে-সরকারি সদস্য রয়েছে। বেসরকারি ১২ জনের মধ্যে রয়েছে ২ জন মুসলমান, ৩ জন হিন্দু, ৩ জন খ্রিস্টান, ২ জন শিখ, ১ জন পার্সি এবং ১ জন কালশা সম্প্রদায়ের। যদিও এই কমিশনের খুব বেশি ক্ষমতা নেই। কারণ এটি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন। এছাড়া সংখ্যালঘু কমিশনে দু’জন সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান সদস্য করায় সমালোচনাও হয়েছে।
আমাদের দেশে কীভাবে গঠন করা হবে সংখ্যালঘু কমিশন, তার ক্ষমতাই বা কী হবে, পাকিস্তানের মতো নখ-দন্তহীন সংখ্যালঘু কমিশন নাকি ভারতের মতো হবে এনিয়ে আলোচনার প্রয়োজন আছে। সংখ্যালঘু কমিশনের ক্ষমতা-কর্মপরিধি ইত্যাদি বিষয়ে একটি রূপরেখা তুলে ধরা দরকার। এই কাজটি করতে পারে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদসহ যে কোনো সংগঠন। পাশাপাশি তৈরি করতে হবে জনমত। এজন্য এগিয়ে আসতে হবে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের স্বার্থ নিয়ে কাজ করা সব সংগঠনকে। পাশাপাশি সংসদে যারা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব করেন তাদেরও অনেক দায়িত্ব আছে। এছাড়া যারা দেশের মানুষের মধ্যে সাম্য চান, যারা বাংলাদেশের সম্প্রীতি চান তাদেরও সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন। শুধু সরকারের গুণগান করলেই হিতৈষী হওয়া যায় না। সরকারের অঙ্গিকারগুলো স্মরণ করিয়ে দেয়া এবং সেগুলো বাস্তবায়ন না হলে জনগণের মধ্যে কী প্রতিক্রিয়া হতে পারে, সে বিষয়ে সরকারকে সতর্ক করে দেওয়া হিতৈষীদের অন্যতম কর্তব্য।
সংখ্যালঘুদের জন্য কেউ যদি আন্তরিকতার সাথে কিছু করে থাকে যেটি আওয়ামী লীগ করেছে। এজন্য এখনো দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের মাটিতে নিজের যতটা অধিকার, ঠিক ততটাই অধিকার দেশের প্রতিটি ধর্মের মানুষের। তাই নিজেদের সংখ্যালঘু না ভেবে দেশের নাগরিক হিসেবে সমান অধিকার নিয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা।
লেখক: গণমাধ্যমকর্মী।