চুরির জন্য কেউ নিজের ওজন ১০ কেজি কমিয়েছে এমন খবর তেমন একটা শোনা যায় না। ঘটনাটি ভারতের আহমেদাবাদের উদয়পুরের। সেখানকার মতি সিং চৌহান প্রায় দুই বছর কাজ করেছেন বোপালের বসন্ত বাহার সোসাইটির মোহিত মারাদিয়ার বাড়িতে। ঘরের বিভিন্ন কাজে সাহায্য করতেন তিনি। ফলে ঘরের কোথায় কী রয়েছে, ঘরের কোথায় মূল্যবান জিনিস রাখা হয় তা খুব ভালোভাবেই জেনে যান মতি সিং। আর তারপরই ওই বাড়িতে চুরির পরিকল্পনা করেন তিনি ।
ঘটনাটি ভারতের আহমেদাবাদের উদয়পুরের। সেখানকার মতি সিং চৌহান প্রায় দুই বছর কাজ করেছেন বোপালের বসন্ত বাহার সোসাইটির মোহিত মারাদিয়ার বাড়িতে। ঘরের বিভিন্ন কাজে সাহায্য করতেন তিনি। ফলে ঘরের কোথায় কী রয়েছে, ঘরের কোথায় মূল্যবান জিনিস রাখা হয় তা খুব ভালোভাবেই জেনে যান মতি সিং। আর তারপরই ওই বাড়িতে চুরির পরিকল্পনা করেন তিনি ।
এই কাজটি করতে পাক্কা ১০ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। পুলিশের কাছে ধরা পড়ার পর তিনি জানান, যেহেতু দরজা ভাঙা সম্ভব ছিল না এবং রান্নাঘরের ছোট জানালা দিয়ে ঢুকতে হতো, তাই তাকে স্লিম হতেই হতো। এ জন্য দিনের পর দিন মাত্র এক বেলা খেয়ে নিজের ওজন ৭৫ থেকে ৬৫ কেজিতে নামিয়ে আনেন মতি সিং। তারপর যান চুরি করতে।
মতি জানত, বাড়ির দরজা ডিজিটাল, যা ভাঙা যাবে না এবং বাড়ির সামনে-পেছনে সিসি ক্যামেরা লাগানো। তাই ক্যামেরার নজর এড়িয়ে রান্নাঘরের ভেন্টিলেশন দিয়ে ঘরে ঢোকার পরিকল্পনা করেন মতি। ৩৪ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি গত ৫ নভেম্বর সাবেক মনিবের বাড়িতে চুরি করতে যান। সাথে ছিল একটি তোয়ালে ও করাত। সেগুলো দিয়ে রান্নাঘরের জানালা ভেঙে ঢুকে প্রায় ৩৭ লাখ টাকার জিনিসপত্র নিয়ে বেরিয়ে যান মতি।
জানালা ভেঙে ঘরে ঢোকার দৃশ্য সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েনি। ফলে চোর ধরতে বেশ বেগ পেতে হয় পুলিশকে। পরে নানা সূত্র কাজে লাগিয়ে নিকটবর্তী একটি হার্ডওয়্যার দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে চুরির কিনারা খুঁজে পায় আহমেদাবাদ পুলিশ ।এরপর ফোন ট্র্যাক করে এসপি সিং রোডের একটি বাস স্টপেজ থেকে ধরা হয় মতি সিংকে। জানা যায়, ওই দিনই তিনি উদয়পুরে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন।
সূত্র : পুবের কলম