মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনযাত্রা নিয়ে অনেকদিনই কাজ করছেন মো: মাসুদুল করিম অরিয়ন। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসাবে দেশের অলিতে গলিতে ছুটে বেড়িয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কাজ করতে পারা বা মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে কাজ করাটা সৌভাগ্যের ব্যাপার। স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে তার সাথে অল্পকয়েকদিন কাজ করছি, মুক্তিযোদ্ধার ইতিহাস সংরক্ষণ কমিটি-র সাথে কাজ করার সময়।
তখন দেখতাম, মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কাজ করতে গিয়ে তিনি অনেক সমস্যা প্রতিনিয়ত খুজে বের করেন। যেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে রয়েছে নানা অভিযোগ। রয়েছে নানা রাজনীতি। সেখানে কাজ করাটা আসলেই অনেক কঠিন।
মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনের গল্প শুনতে গেলে একজন আরেকজনের নামে যখন বদনাম করে তখন কষ্ট লাগে। কিন্তু এনারাই তো ১৯৭১ সালে দলবদ্ধ হয়ে, একতাবদ্ধ হয়ে আমাদের এই দেশটাকে স্বাধীণ করেছে। এরাতো আমাদের দৃষ্টিতে নায়ক। সেই স্বপ্নের ফেরিওয়ালা। যারা একদিন জীবনের মূল্য না দিয়ে স্বাধীণতার ডাকে লাফিয়ে পড়েছিল। শীত, গ্রীস্ম, বর্ষায় কখনো গাছের উপর ঝুলে, কখনো বনে বাদাড়ে, খেয়ে না খেয়ে যারা স্বাধীণতার সূর্যকে ছিনিয়ে আনলো তারাই কেন অন্যের কথা বলে মিথ্যা বলেন, ও তো মুক্তিযুদ্ধ করেই নাই।
হতাশা সাথে স্বপ্ন নিয়ে তাদের গল্পগুলো কিছুটা হলেও সংরক্ষণের মোঃ মাসুদুল করিম অরিয়নের “মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা পর্ব” এর সহযোগী হওয়ার চেষ্টা করছি। সবার কাছে এটাও অনুরোধ থাকবে আমার এই ছোট ছোট ভুল গুলি না দেখে তাদের সর্বাত্ক ত্যাগকে শ্রদ্ধা করি সন্মান করি।
লেখক, সাংবাদিক- সুব্রত মুখার্জী