আমাজনের সাতেরে মাওয়ে উপজাতির পুরুষদের পুরুষত্বের প্রমাণ দিতে খেতে হয় বিষাক্ত পিঁপড়ার কামড়। এই আধুনিক বিশ্বে এখনো এমনই অনেকে নানা কুসংস্কারে আচ্ছন্ন। যারা বিভিন্ন রকম প্রথা ও নিয়মে বিশ্বাসী, বাস্তবে যার আদৌ কোনো ভিত্তি আছে কিনা- তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
আমাজনের সাতেরে মাওয়ে উপজাতির মধ্য বহু বছর ধরে চলে আসা এই প্রথায় বুলেট নামক ভিমরুলের আকৃতির দসেই পিঁপড়ার বিষাক্ত কামড় সহ্য করতে পারলেই প্রকৃত যোদ্ধা হওয়ার মর্যাদা পাবে সেখানকার পুরুষরা। জানা গেছে, আমাজনের এই পিঁপড়ার নাম প্যারাপোনেরা ক্লাভাটার, যার এক কামড়ে ২৪ ঘণ্টা একটানা গুলিবিদ্ধ হওয়ার মতই যন্ত্রণাদায়ক ব্যথা থাকে। যা অনেকেই সহ্য করতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে যায়। কিন্তু সাতেরে মাওয়ে উপজাতির মধ্যে যারা শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে তারাই বীরপুরুষের খেতাব পেয়ে যায়।
একজন পুরুষকে সারা জীবনে ২০বার বিষাক্ত পিঁপড়ার কামড় সহ্য করতে হয়। বারো বছর বয়স থেকেই এই পরীক্ষা শুরু হয়। পিঁপড়াগুলোকে জঙ্গল থেকে সংগ্রহ করে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নির্ধারিত ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী পাতা দিয়ে তৈরি পিঁপড়ার গ্লাভসটি পরিয়ে দেওয়া হয়। কম বয়সী ছেলেরা পাঁচ মিনিট, বয়স বাড়লে অবশ্য দশ মিনিট বা তারও বেশি সময় এই পরীক্ষা দিতে হয়। এই অগ্নিপরীক্ষার সময় যখন ছেলেটি যন্ত্রণায় কাতরায় তখন বাকিরা গান এবং নৃত্যে ব্যস্ত থাকে। কঠিন এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তবেই একজন সাতেরে মাওয়ে পুরুষ পান শারীরিক সম্পর্ক করার অনুমতি।
সূত্র : অ্যানসাইন্ট অরিজিন/ দ্য গার্ডিয়ান