রহস্য উদঘাটন

জহুরুল হত্যার রহস্য উদঘাটন আসামির জবানবন্দি

অজানা রহস্য বাংলাদেশ
বাঘার চাঞ্চল্যকর মোবাইল সেলসম্যান জহুরুল হত্যার রহস্য উদঘাটন, আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান ”
গত ০৬-০১-২০২১ তারিখ সকাল অনুমান ০৭.০০ ঘটিকায় জহুরুল ইসলাম (২৩) পিতা-মোঃ রফিকুল ইসলাম, সাং-মনিগ্রাম (বাজার) থানা-বাঘা, জেলা-রাজশাহী নামক এক যুবকের মরদেহ রক্তাক্ত জখম অবস্থায় বাঘা থানাধীন তেথুলিয়া শিকদারপাড়া গ্রামের আম বাগানের মধ্যে পাওয়া যায়।

 

এ বিষয়ে মৃত যুবকের ভাই মোঃ রুহুল আমিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বাঘা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যার নং-০৬, তারিখ ০৬-০১-২০২১ ইং ধারা ৩৯৪/৩০২/৩৪ দন্ডবিধি। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন, বিপিএম (বার) এর দিকনির্দেশনায় চারঘাট সার্কেল এর সহকারী পুলিশ সুপার নুরে আলম এর নেতৃত্বে একটি টিম গোপনসূত্রে প্রাপ্ত তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে গত ১৫-০১-২০২১ তারিখ রাতে এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তিনজন আসামিকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন ১। মোঃ মাসুদ রানা (২৬), পিতা-মোঃ আকমল হোসেন, সাং-বালিতিতা ইসলামপুর, ২। মোঃ আমিনুল ইসলাম @ শাওন (৩০), পিতা-মৃত সানাউল্লাহ, সাং-কাজিপাড়া, উভয় থানা-লালপুর, জেলা-নাটোরদ্বয়কে তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে এবং ৩।

 

মোঃ মেহেদী হাসান @ রকি (২৩), পিতা-মোঃ ফারুক হোসেন, সাং-জোতকাদিরপুর, থানা-বাঘা, জেলা-রাজশাহীকে তার নানার পবনা জেলার ঈশ্বরদী থানাধীন পিয়ারপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে গ্রেফতারকৃত মোঃ মাসুদ রানা ও মোঃ আমিনুল ইসলাম @ শাওনদ্বয় বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। উল্লেখ্য ভিকটিম জহুরুল ইসলাম বাঘা থানাধীন পানিকুমড়া বাজারে মোঃ মেহেদী হাসান @ মনি এর টেলিকম ও ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানে সেলস্ ম্যান হিসেবে চাকরি করতেন। ভিকটিম জহুরুলের নিকট থেকে আসামি মোঃ মাসুদ রানা ও মোঃ আমিনুল ইসলাম @ শাওনদ্বয় বাকিতে মোবাইল ফোন ক্রয় করেন। জহুরুল মোবাইলের টাকার জন্য তাদের চাপ দিলে তারা টাকা না দেওয়ার জন্য জহুরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

 

পরিকল্পনা মোতাবেক গত ০৫-০১-২০২১ তারিখ সন্ধ্যাবেলা ভিকটিম জহুরুল আড়ানী হতে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলে আসামি ১। মোঃ মাসুদ রানা ও ২। মোঃ আমিনুল ইসলাম @ শাওনদ্বয় তাদের পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক মোবাইলের টাকা দিতে চেয়ে কৌশলে ভিকটিম জহুরুলকে ঘটনাস্থলের আম বাগানে ডেকে নেন। ভিকটিম জহুরুল ঘটনাস্থলে আসলে আসামিদ্বয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জহুরুল ইসলামকে হত্যা করে তার নিকটে থাকা ২৫,০০০/-(পঁচিশ হাজার) টাকা ও বিভিন্ন কোম্পানির ২৮ টি মোবাইল নিয়ে যায়। এরপর আসামিদ্বয় উক্ত ২৮ টি মোবাইল আসামি ৩। মোঃ মেহেদী হাসান @ রকির নিকট রাখে। বর্তমানে আসামিগণ জেল হাজতে রয়েছে।

 

এছাড়া মেহেদী হাসান @ রকিকে গ্রেফতারের সময় তার নানার বাড়ি থেকে লুণ্ঠিনকৃত বিভিন্ন কোম্পানির ২৮ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিরা এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ও মাদক সেবন করে বলে জানা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *