টিকা কর্মসূচির লক্ষ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১২ বছর ও তার বেশি বয়সী সব বাংলাদেশীকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেয়া হবে।’ জাতীয় সংসদে বুধবার টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা জানান সরকার প্রধান।
প্রশ্নোত্তর পর্বে টিকা গ্রহণের বয়স নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক আরো কিছু বিষয় তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, চীনের সিনোফার্মের দেয়া শিডিউল অনুযায়ী, অক্টোবর থেকে প্রতি মাসে ২ কোটি হিসাবে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ কোটি ডোজ টিকা পাওয়া যাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতি মাসে যাতে এক কোটি ডোজের বেশি টিকা পাওয়া যায় তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সিনোফার্ম হতে দেয়া শিডিউল অনুযায়ী, আগামী অক্টোবর থেকে প্রতি মাসে ২ কোটি হিসাবে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৬ কোটি টিকা পাওয়া যাবে৷’
পিরোজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের উত্তরে করোনাভাইরাসের টিকা প্রাপ্তি ও প্রয়োগ নিয়ে পরিসংখ্যান তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। সংসদকে তিনি বলেন, ‘১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ১৩ হাজার ৬৬০ ডোজ টিকা সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত দ্বিপাক্ষিক ক্রয় চুক্তি এবং উপহার হিসেবে মোট ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৩১ হাজার ৮৮০ ডোজ টিকা পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, ‘১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের ২ কোটি ৯ লাখ ২২ হাজার ৭১৫ জন মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে। আর ১ কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৪৬ জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মজুত ভ্যাকসিনের পরিমাণ ৯৬ লাখ ৫৪ হাজার ১১৯ ডোজ।’
টিকা নেয়ার পাশাপাশি সবাইকে নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী। করোনা মহামারী মোকাবিলায় সবার সহযোগিতা চান শেখ হাসিনা।