মাত্র ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকায় দুই শতাংশ জমি আর একটা বাড়ি। এ পর্যন্ত সরকার প্রায় ৩ লক্ষ গৃহহীন ও জমি হীন পরিবারের তালিকা করেছে। প্রথম পর্যায়ে ৬৬,১৮৯টি পরিবারকে জমি ও ঘর দেয়া হবে। এই ফেব্রুয়ারী মাসের মধ্যে জমি ও ঘর পাবে ১ লক্ষ পরিবার।
বড় বড় উন্নয়ন কর্মে হত দরিদ্র মানুষের উপকার খুব একটা হয় না। তারা চার লেনের রাস্তা কতটা ব্যবহার করেন? মেট্রো-রেল কিংবা পদ্মা সেতু তাদের কতটা দরকার? তাদের দরকার একটু ঘুমানোর জায়গা, বিড়ম্বনাহীন হাসপাতাল, ফাঁফর বিহীন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য মূল্য, এই শীতে গরম কাপড়। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোঁটাতে বেশি কিছু লাগে না।
শেখের বেটি এ কথা বোঝেন। অনেকেই তাঁর আগে দেশ পরিচালনা করেছেন – কেউ গরীবের জন্য এমন করে ভাবেননি, করেননি। শেখ হাসিনার হাতে দেশ থাকলে দেশের কেউ আর গৃহহীন থাকবে না। নিজের ঘরে পরিবার নিয়ে ঘুমাতে পারবেন। সরকারী হাসপাতালগুলো এই সরকারের সময় অনেক সুবিধা দিচ্ছে; বিড়ম্বনা কমেছে। তবে যেটুকু হয়েছে তা যথেষ্ট নয়। ডাক্তারদের অনুপস্থিতি আর দুর্নীতি কমাতে পারলে সাধারণ মানুষ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাবে। মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ব কমাতে পারলে ন্যায্য মূল্যে পাওয়া যাবে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য – চাল, ডাল, মাছ, শাক, সবজী।
বঙ্গবন্ধু কথায় কথায় বলতেন – আমার গরীব কৃষক, খেঁটে খাওয়া মানুষ। রাজনীতি আসলে তাদের জন্য। তাদের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু আজীবন কাজ করেছেন, দেশ স্বাধীন করেছেন। তিনি বেঁচে থাকলে গরীব মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি অনেখানী অর্জন করা যেত। পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতা বিরোধী আর সামরিক শাসকেরা গরীবের জন্য কাজ করেনি, করেছে শুধু ধনীদের জন্য। শেখ হাসিনা করছেন। তাঁর চেষ্টায় বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ; অর্জন হচ্ছে অর্থনৈতিক মুক্তি।