যমুনা ওয়েব ডেস্কঃ করোনার কবলে পড়ে গোটা দেশের অর্থনীতি যেখানে ধুঁকছে, সেখানে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে নিয়েছে বাংলাদেশের ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান ই–অরেঞ্জ । এবার এই প্রতিষ্ঠানের পাঁচ কর্মকর্তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি ঘোষণা করল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত । বিচারপতি রাজেশ চৌধুরী এই আদেশ জারি করেন ।
হাজার কোটি টাকা প্রতারনা করার দায়ে ই–অরেঞ্জের যে পাঁচ জন কর্মকর্তাকে বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, তারা হলেন, সোনিয়া মেহজাবিন ও তাঁর স্বামী মাসুকুর রহমান এবং আমানউল্লাহ, বীথি আক্তার, কাউসার আহমেদ। জানা গেছে, এই পাঁচ জনের মধ্যে দুইজন কর্মকর্তা সোনিয়া ও মাসুকুর কারাগারে রয়েছেন। ইতিমধ্যে টাকা আত্মসাৎ করার দায়ে অপর এক কর্মকর্তা আমানউল্লাহকে পুলিশ হেপাজতে নিয়েছে পুলিশ। অপর দুই জন প্রতারক বীথি আক্তার ও কাউসার এখন পর্যন্ত পলাতক । পুলিশ তাদের হন্যে হয়ে খুঁজছে ।
গত বুধবার রাজধানীর গুলশন থানায় ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান ই–অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় । তাদের বিরুদ্ধে এক লাখ গ্রাহকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে । মামলা দায়ের হতেই প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মকর্তা সোনিয়া মেহজাবিন ও তাঁর স্বামী মাসুকুর রহমান পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন । পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ।
জানা গেছে, বুধবার গুলশন থানায় মামলার বাদী তাহেরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, গত ২৮ এপ্রিলের পর থেকে বিভিন্ন সময় পণ্য ক্রয় করার জন্য ই–অরেঞ্জকে অর্থ প্রদান করেন। নির্দিষ্ট সময়ের পরও তারা পণ্য সরবরাহ করেনি। ওই প্রতিষ্ঠানের অফিসে গিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে এগুলো কিছুদিনের মধ্যে সরবরাহ করবে বলে জানানো হয়। এদিকে এই টালবাহানার মধ্যেই ই-অরেঞ্জ চুক্তিমত পণ্য সরবরাহ না করে প্রায় এক লাখ গ্রাহকের কাছ থেকে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে।
এদিকে ই-অরেঞ্জের পক্ষে আদালতে মামলা লড়ছেন আইনজীবী মামুনুর রশীদ । তিনি আসামি পক্ষের হয়ে দাবী করেছেন, তাঁর মক্কেল সোনিয়া মেহজাবিন ও তাঁর স্বামী মাসুকুর রহমান আগে ই–অরেঞ্জের মালিক ছিলেন। গত জানুয়ারি মাস থেকে তাঁরা এই প্রতিষ্ঠানের মালিক নন। তারপরও তাঁদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। যদিও আদালতের পক্ষ থেকে এই পাঁচ কর্মকর্তাকে দেশ ছেড়ে বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে ।