হাসলে আপনারই লাভ। অতিরিক্ত মানসিক চাপ কিংবা উদ্বেগ মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। কর্মক্ষেত্রে দুর্দান্ত উপায়ে, দলবদ্ধভাবে ও মানসিকভাবে শক্তি নিয়ে কাজ করতে হাসিখুশি থাকা খুবই জরুরি। যিনি যতটা হাসিখুশি থাকবেন, দিন শেষে তিনি নিজেকে ততটাই সুখী হিসেবে আবিষ্কার করবেন। তাই কাজ যেমনই হয়ে থাকুক না কেন সেই কাজটিকে আনন্দের সাথে করার চেষ্টা করা উচিত।
হাসির বিভিন্ন উপকারিতাঃ-
দেহে রোগ প্রতিরোধী এন্টিবডি তৈরিতে হাসি:
হাসি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পর্যবেক্ষণের ফলাফল হিসাবে দেখা গেছে যে,হাস্যরস রোগ প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় এন্টিবডি তৈরি করে দেহকোষে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। হাসলে দেহের রক্তসঞ্চালন বেড়ে যায় এবং অক্সিজেন গ্রহণের মাধ্যমে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। তাই দিনভর হাসিখুশি থাকুন।
হার্টের সমস্যা দূর করতে হাসি:
মানুষের মধ্যে যারা বেশি হাসে তাদের হার্টের সমস্যা তুলনামূলকভাবে যারা কম হাসেন তাদের তুলনায় খুব কম। তাছাড়া যারা বেশি হাসতে পারেন না তারা তাদের ব্যক্তিগত জীবনেও নানা রকমের সমস্যায় থাকেন। তাই সুস্থ হার্টের জন্য মন-প্রাণ খুলে হাসুন।
বিষণ্ণতা ও মানসিক চাপ দূর করতে হাসি:
বিভিন্ন কারণে অনেকে বিষণ্ণতায় ভুগে থাকে। হাসি সবসময় মনকে প্রফুল্ল রাখে ও মনের গভীর থেকে বিষণ্ণতা দূর করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা বেশি হাসতে থাকেন তাদের ভেতর দুশ্চিন্তা অনেক কম প্রভাব ফেলতে পারে এবং বিষণ্ণতার প্রভাবও অনেক কমে যায়। মানসিক চাপ দূর করতে যখনই যেমন অবস্থায় থাকুন না কেন, মন খুলে হাসুন। তাই বিষণ্ণতাকে দূরে ঠেলে দিতে সর্বদা হাসিখুশি থাকুন।
রাগ দমনে ও সৌহার্দভাব বজায় রাখতে হাসি:
যেকোনো ধরণের রাগ দূর করতে সুন্দর একটি হাসির উপকারিতা অনেক বেশি। হাসি মানুষকে একে অপরকে কাছাকাছি রাখতে সাহায্য করে থাকে। হাসি মনের সমস্ত দুশ্চিন্তা দূর করতে ও অপরের সাথে সম্পর্ক ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলুন যদিও কেউ আপনার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। আপনার হাসিমুখে কথা বলা অন্যের ভুল সংশোধনে সাহায্য করতে পারে।
দেহের ব্যথা দূর করতে হাসি:
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একটি জরিপে দেখা গিয়েছে যে, মানুষ যত বেশি হাসবে তার দেহের ব্যথা তত বেশি কমবে। হাসলে মস্তিষ্কে এনডোরফিন নামক একটি হরমোন নিঃসরণ হয় যা শরীরের কোষে ব্যথা দূর করতে খুবই সহায়ক। তাই প্রাণ খুলে হাসুন।
ক্যান্সার প্রতিরোধে হাসি:
আমেরিকায় একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, হাসি দেহকে ক্যান্সার রোগ হতে বাঁচাতে সাহায্য করে। হাসি দেহে ক্যান্সার প্রতিরোধী “টি-লিস্ফোরসাইট” কোষকে সচল রাখে যা টিউমার প্রতিরোধে খুবই সহায়ক। তাই ক্যান্সার রোগীদের হাসানোর জন্য বিশেষ ধরনের থেরাপি দেওয়া হয় যা রোগীর দেহের ব্যথা দূর করে ও মন ভালো রাখে।হাসি হচ্ছে স্বর্গীয়। হাসলে আপনারই লাভ। তাই সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজনে এবং অপ্রয়োজনে হাসুন প্রাণ খুলে