যমুনা ওয়েব ডেস্কঃ দেশ জুড়ে করোনার দ্বিতীয় লহর অব্যাহত । ফের নতুন করে বিভিন্ন জেলা থেকে সংক্রমণের খবর আসছে । এই অবস্থায় বাতিল হবার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা । উল্লেখ্য, প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়ার পর গত বছর একই কারনে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা বাতিল হয়। যদিও সরকারীভাবে ঘোষণা করা হয়নি আগামী দিনে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে । তবে সুত্রের খবর, এই পরীক্ষাগুলি নিয়ে ইতিমধ্যে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে ।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের এক কর্মকর্তা নিজের নাম প্রকাশের অপারগতা জানিয়ে সংবাদ মাধ্যমে বলেন, “নভেম্বর মাসে নিয়মিত জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা নেয়ার জন্য পূর্বের বছর গুলোতে এসময়ে রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পূরণসহ আনুষাঙ্গিক কাজ করা হয়। এমনকি প্রশ্নপত্র তৈরি, মুদ্রণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের কোন নির্দেশনা নেই। এ কারনে ধারনা করা হচ্ছে বর্তমান বছরেও এ পরীক্ষা নাও হতে পারে।”
পূর্বেই জানা যায় বর্তমান বৎসরে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা হচ্ছে না। গত বছর মার্চ মাস থেকে বিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম বন্ধ থাকে। পাশাপাশি সরকার অনলাইন পাঠদান, টিভির মাধ্যমে ক্লাস, এসাইনমেন্টের মাধ্যমে ঘাটতি পূরণ করার চেষ্টা করছে। নিয়মিত পাঠদানের ঘাটতি পূরণ করা অসম্ভব। গতবৎসর সরকারি নির্দেশনায় অটোপাস অর্থাৎ যে যে ক্লাসে ছিল তার পররর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করা হয়। দেখা যায় যা আসলেই ফলপ্রসু হয় নাই। প্রত্যেকটি ক্লাসের পাঠ পরবর্তী জীবন বা পরবর্তী ক্লাসের জন্য প্রয়োজন। কোন শিক্ষার্থী এক শ্রেণীর পড়া না করে পরবর্তী শ্রেণীতে গেলে সে বোঝার কথা নয়।
একই সাথে দীর্ঘ সময় বিদ্যালয়ের সাথে সম্পৃক্ততা না থাকায় বিদ্যালয়গামী ছাত্রদের মানসিক সমস্যা, শিশু শ্রম, অপ্রাপ্ত বয়স্ক বিয়ে, ইন্টারনেট আসক্তি সহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে। করোনার প্রকোপ থেকে মানুষ বাচার জন্য বিভিন্ন ভাবে যুদ্ধ করছে। সে যুদ্ধের পথে হাজার হাজার সৈন্য হারাচ্ছে।
সমস্তবিশ্বে করোনার এই প্রকোপ থেকে শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাচানোর জন্য অনেকেই অনেক চিন্তা করছেন। তার মধ্যে বিশেষভাবে উন্মুক্ত স্থানে পাঠদান যা গুরুত্বপূর্ণ।
বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা শুধুমাত্র সিলেবাসের শিক্ষা গ্রহণ করে না তার পাশাপাশি সামাজিকতা শেখে। বিদ্যালয় থেকে তারা জীবনে দায়িত্ব নেয়া শিক্ষা নেয়। বিশেষ করে যে সকল শিশুরা নতুন ভর্তির জন্য এই দুই বছর অপেক্ষা করছে তাদের জন্য আরো বেশী সমস্যা হচ্ছে। সামাজিকতা, দায়িত্ব, নৈতিক চরিত্র গঠনে বিদ্যালয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য বলে মনে করেন শিক্ষা বিষয়ক গবেষকরা।