আজ শহীদ কমরেড রাসেলের ১৭তম মৃত্যু বার্ষিকীতে বিপ্লবী যুব মৈত্রী কেন্দ্রীয় কমিটি, যশোর জেলা কমিটি ও বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ বাঘারপাড়া উপজেলা কমিটি এবং বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর পক্ষ থেকে সকাল ১১ টায় শহীদের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে হয়। শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, শহীদ নূর হোসেন, রাসেলরা কোন দলের নয় — ওরা গণতন্ত্রের সৈনিক, ওরা ভোট – ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার সৈনিক। ওরা যুগে যুগে আসে স্বৈরাচার – ফ্যাসিস্ট – লুটেরাদের উচ্ছেদের জন্য।
শহীদ রাসেলও ভুয়া ভোটার বাতিল, মিল কল কারখানা চালু, ভাত – ভোট – কাজের দাবি এবং লুটপাটের বিচারের দাবিতে রাজপথে নেমেছিল, বুকের তাজা রক্ত দিয়েছিল।
রাসেলের রক্তের পথ বেয়ে ক্ষমতায় যেয়ে ক্ষমতাসীনরা অতীতকে, রাসেলদেরকে ভুলে যেতে চাইছে। আজ ভোটের অধিকারই কেড়ে নিয়েছে। ১২ লক্ষ কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার কেরেছে। বাজার সেন্ডিকেট করে ঝাল ডিম থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মাধ্যমে মানুষের পকেট কেটে কোটি কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রয়াত্ব পাটকল চিনিকল কল বন্ধ করে লক্ষ লক্ষ মানুষকে কাজ হারা করেছে। খুন গুম গ্রেফতার দেশে এক ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
সারাদেশে মানুষ উদ্বিগ্ন — কি হবে। আজ নতুন করে বুকে পিঠে শ্লোগান লিখতে হবে — গণতন্ত্র মুক্তি পাক, ফ্যাসিবাদ নিপাত যাক। ভোট ভাত কাজের দাবিতে, রাসেল নূর হোসেনর স্বপ্নের রাষ্ট্র, জনগণের রাষ্ট্র সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে রাজপথে নামার বিকল্প নাই। বাম গণতান্ত্রিক শক্তির রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা ছাড়া অন্য কোন মুক্তির পথ নাই। আসুন বাম বিকল্প গড়ে তুলি, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করি।
শ্রদ্ধা নিবেদনে উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী যুব মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সভাপতি কবি মাশুক শাহী, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম অনল, শেখ আলাউদ্দিন, আহাদ আলী মুন্না, জেলা নেতা মন্জুর আলম, হুমায়ুন কবির সেতু এবং বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের জেলা নেতা কমরেড পলাশ বিশ্বাস ও বাঘারপাড়া উপজেলা কমিটির সম্পাদক কমরেড বিপুল বিশ্বাস এবং বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী সুমন পোদ্দার ও শাওন প্রমুখ।