জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ম. তামিম বলেছেন, বাংলাদেশে প্রতিদিন ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস চুরি হচ্ছে। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে গতকাল রাজধানীর এফডিসি মিলনায়তনে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির যৌক্তিকতা নিয়ে এক ছায়া সংসদে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ম. তামিম এসব কথা বলেন
এই চুরি বন্ধ করতে পারলে স্পট মার্কেট থেকে সোনার দামে যে গ্যাস কেনা হচ্ছে তা কিনতে হতো না। বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি নবায়নের ক্যাপাসিটি কস্টও এখন তুলে দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাব রয়েছে। বিপিসি ভর্তুকি প্রদান ও মুনাফা অর্জনের বিষয়টি কখনো সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করে না। জ্বালানি স্বনির্ভরতা অর্জনে নেতৃত্বের ব্যর্থতা রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাব রয়েছে। বিপিসি ভর্তুকি প্রদান ও মুনাফা অর্জনের বিষয়টি কখনো সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করে না। তাদের কার্যক্রমের তথ্য প্রাপ্তিতে জনগণের অধিকার সুরক্ষা করতে হবে। জ্বালানি স্বনির্ভরতা অর্জনে নেতৃত্বের ব্যর্থতা রয়েছে। আমরা এখনো কয়লা ও গ্যাস ক্ষেত্র অনুসন্ধানে অনেক পিছিয়ে আছি। জ্বালানি স্বনির্ভরতা অর্জনের জন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদের সুষ্ঠু ও সাশ্রয়ী ব্যবহার করতে হবে। একই সঙ্গে অপচয়রোধ করে জ্বালানি ব্যবস্থাপনায় সুশাসন নিশ্চিত করা জরুরি। জ্বালানি খাতে বর্তমানে যে ইনডেমনিটি রয়েছে তা সমর্থনযোগ্য নয়। জরুরি সংকটকালে ইনডেমনিটি দেওয়া যেতে পারে। জ্বালানির জন্য অতীতে যে ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছিল বর্তমানে তার প্রয়োজন নেই।
অধ্যাপক ড. ম. তামিম আরও বলেন, সরকার জ্বালানি সংগ্রহে যতটা তৎপর জ্বালানি সাশ্রয়ে তেমন তৎপর নয়। ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে ২৩ শতাংশ। অথচ পরিবহণ ব্যয় বে ড়েছে ২৮ শতাংশ। এর ফলে মূল্যস্ফীতি বে ড়েছে। ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি অনুপাতে ভাড়া বৃদ্ধি হওয়া উচিত ছিল ৮ থেকে ১০ শতাংশ। আমরা এখন জ্বালানি সংকটে আছি। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে কিছু মূল্য বৃদ্ধি করে জ্বালানি খাতে ভর্তুকি দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।