পরীক্ষা স্থগিত করা এটা কোন সমাধান হতে পারে না। আই ই আর ইনস্টিটিউট এর সম্মানিত স্যার রা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে করে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে যাবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও আমি বলবো হুট করে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত না। যে কোন বিষয়ের একটা সমাধান আছে। শিক্ষার্থীরা হচ্ছে একটা প্রতিষ্ঠানের প্রাণ। আর আমাদের সম্মানিত শিক্ষকরা হচ্ছেন তাদের অভিভাবক, পিত- মাতা তুল্য। তাহলে আপনাদের সন্তানদের অনিশ্চয়তার দিকে কেন ঠেলে দিবেন!!!
এই বিষয়টা নিয়ে আমি চেয়ারম্যান বশির স্যার এর সাথে কথা বলেছি। উনি উনার অপারগতা দেখিয়েছেন নির্দিষ্ট কিছু কারণ দেখিয়ে। একাডেমিক সিদ্ধান্তের কথা বলেছেন। আমি মানবিকতার কথা বলেছি। প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া স্যার অনেক বেশি আন্তরিক ছিলেন চেষ্টা ও করছেন কিন্তু ডিপার্টমেন্ট না চাইলে কি আর করা।
আমাদের ছাত্র উপদেষ্টা সিরাজ উদ-দৌলা স্যার ও আন্তরিক ছিলেন। কিন্তু আমরা সকলে মিলে একটা ভাল সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারি নি। তাতে করে আজ শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছে। ছাত্রদের ভুল হবে কিন্তু অভিভাবক হিসেবে সেই ভুল শুধরে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের স্যারদের। কোনরুপ অুনরাগ বা বিরাগের বশবর্তী হয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা কখনো কল্যাণকর হয় না। আমি ভালোর পক্ষে। আমরা একটু মানবিক হলে মনে হয় অনেক জটিল বিষয়ের সমাধান হয়ে যেতে পারে। আর সব কিছুতে আমরা শুধু আন্দোলন খুঁজলে হবে না। আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান করা যায় সেই পথ আমাদের খোলা রাখতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে।
বাচ্চা বাচ্চা ছেলে – মেয়েদের বয়সই বা কতো হয়েছে। সবতো ওদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু। ওরা যদি শুরুতেই হোঁচট খায় তাহলে তা তাদের সামনের জীবনে ব্যাঘাত ঘটাবো। তাই আমি একজন ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে নয়, একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আইইআর এর সম্মানিত স্যারদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাবো আপনারা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে নিজের সন্তাদের ঘরে ফিরিয়ে নিন। তাতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ও ইনস্টিটিউট এর সম্মান রক্ষা হবে।আর আমি ও আমার সংগঠন শিক্ষার্থী ভাই বোনদের পাশে আছি সর্বদা অতীতের ন্যায়। – ইকবাল হোসেন টিপু, চবি ।