যমুনা ওয়েব ডেস্কঃ কোভিড-১৯ এর মধ্যে আবার প্রহর গোনা শুরু হয়েছে ইসলামধর্মের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব কুরবানীর। কুরবানীর বাজারে প্রতিবছরই বিভিন্ন খামারীর গরু নিয়ে চলে প্রতিযোগিতা। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া গ্রামের খামারী আবুল হোসেনের এবার রয়েছে তিনটি গরু। তিনি আবার নামের ক্ষেত্রেও কম যান না। গরু তিনটির নাম রেখেছেন ভৈরব, মধুমতি ও সুখী।
অনেকেই নাম শুনে ভাবতে পারেন হয়ন গ্রামের কোন ঘরের তিন বোন। ঠিক খামারী সেরকমই আর করে লালন পালন করেছেন এই তিনটি অবোধ প্রাণীকে। ওজন, আকৃতি ও সৌন্দর্যে তারা নজর কারে সকলের।প্রতিদিনই দূরদুরান্তথেকে দর্শনার্থীরা আসছেন তাদের দেখতে। এবার কোরবানির হাট মাতাবে তারা। তবে করোনাকালে নায্যমূল্য নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে ষাড় তিনটির মালিক আবুল হোসেন।
হলিস্টিয়ান ফিরিজিয়ান জাতের ষাড় ভৈরবের ওজন এখন ১৮০০ কেজি। পুরো শরীর কালো ও মাথায় সাদা চিতা এক অন্যরকম আকর্ষনীয় চেহারা দিয়েছে ভৈরবকে। ৯ ফুট লম্বা ও ৫ ফুট সাত ইঞ্চি উচ্চতার এই গরুর দাম হাকা হয়েছে ৪৫ লক্ষ টাকা। এক সাথে বিশালাকৃতির তিন গরু দেখতে প্রতিদিনই ভীড় জমায় স্থানীয়রা। কিছুটা বিরক্ত হলেও হাসিমুখে দর্শনার্থীদের গরু দেখান খামার মালিকরা।
খামারীর তথ্যমতে গত বছরও তিনি কোরবানিতে গরু তিনটি বিক্রির জন্য চেষ্টা করেন কিন্তু উপযুক্ত ক্রেতার অভাবে বিক্রি করতে পারেননি। করোনার পরিস্থিতির কারনে এবারও শঙ্কায় রয়েছে। অনেক সখ ও ত্যাগ স্বীকার করে একসাথে তিনটি গরু বড় করেছেন।