যমুনা ওয়েব ডেস্কঃ কোভিড-১৯ এ বিশ্বরাজনীতিতে পরিবর্তনের পাশাপাশি শুরু হয়েছে টিকা রাজনীতি। সমস্ত বিশ্বে উৎপাদিত টিকাসহ ভারতের কোভ্যাক্সিন টিকার অবদানও কম নয়। বিভিন্ন কোম্পানী বড়দের টিকা তৈরী করলেও শিশুদের সুরক্ষা দিতে পারেনি। ভারতে এরই মধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আলামত চলছে।
ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টা প্লাস, যাকে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ বলা হচ্ছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তৃতীয় ঢেউ আসার আগে শিশুদের সুরক্ষা দিতে ততপর। তারা খুব দ্রুত বাচ্চাদের ভ্যাকসিন দেয়ার চেষ্টা করছে। দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এইমস)-এর প্রধান ডক্টর রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, শিশুদের শরীরেও কার্যকরী হবে দেশের তৈরি কোভ্যাক্সিন। তিনি একই সাথে বলেন, ২ বছরের শিশুর শরীরে ভ্যাকসিনের ডোজে কতটা রোগ প্রতিরোধ শক্তি তৈরি হবে তা আগামী ২-৩ মাসের মধ্যেই বোঝা যাবে।
পাটনা এইমসে ২ থেকে ৬ বছর বয়সী শিশুদের ওপর কোভ্যাক্সিন টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হতে চলেছে। এ টিকা দেয়ার রেজিস্টেশনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত ২৮ মে কমবয়সীদের শরীরে টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে। শিশুদের উপযোগী এ টিকাকে তিনটি ধাপে ভাগ করা হয়েছে ১২-১৬ বছর বয়সীদের প্রথম ধাপ, ৬ থেকে ১২ বছর বয়সীদের দ্বিতীয় ধাপ এবং তৃতীয় ধাপে রয়েছে ২ থেকে ৬ বছর বয়সী।
জানা যায় ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ৫০ থেকে ৫০ জন শিশুকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে। যাদের প্রত্যেকের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরী হয়েছে।স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আসলে তা শিশুদের সংক্রমন বেশী হতে পারে। একারনে শিশুদের টিকা দ্রুত দেয়ার কথা চিন্তা করছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। টিকার সাথে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন সেপ্টেম্বর মাসেই বাজারে এ টিকা চলে আসবে।