চট্টগ্রামঃ পুজা মণ্ডবে হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার শতাধিক

চট্টগ্রামঃ পুজা মণ্ডবে হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার শতাধিক

দিনকাল বাংলাদেশ

যমুনা ওয়েব ডেস্কঃ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিক্ষিপ্তভাবে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার অভিযোগ আসছে। পুলিশের ধারনা সরকারকে বিপাকে ফেলার জন্য কিছু মানুষ এই নোংরা কৌশল গ্রহণ করেছে । এবার চট্টগ্রামে পুজা মণ্ডবে হামলার অভিযোগে ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । যার মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে যুব–ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামে পুজা মণ্ডবে হামলার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে যুব অধিকার পরিষদের  এই ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই ১০ জনকে নিয়ে সংখ্যালঘুদের তরফ থেকে কোতোয়ালি থানায় করা মামলায় ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, হিন্দুদের বড় উৎসব দুর্গাপুজার সময় চক্রান্ত করে পুজা মণ্ডব ভাংচুর করা থেকে শুরু করে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার শুরু করেছে এক শ্রেণীর মানুষ ।

গতকাল রাতে চট্টগ্রামে পুজা মণ্ডবে হামলার অভিযোগে যে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা হলেন, যুব অধিকার পরিষদের চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক মো. নাছির, সদস্যসচিব মিজানুর রহমান, বায়েজিদ বোস্তামী থানার আহ্বায়ক মো. রাসেল, নগর ছাত্র অধিকার আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক মো. ইমন, কর্মী ইয়ার মোহাম্মদ, জিয়া উদ্দিন, ইয়াসিন আরাফাত, হাবিবুল্লাহ, ইমরান হোসেন ও মো. মিজান। হাসিনা সরকারকে বিব্রত করার জন্য পূজামণ্ডপে হামলার চেষ্টার পাশাপাশি সারা দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য পরিকল্পিতভাবে এগুলি করা হচ্ছে বলেই পুলিশ মহলের প্রাথমিক ধারনা ।

উল্লেখ্য, চলতি মাসের গত ১৬ অক্টোবর দুপুরে চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা জেএমসেন হল পূজা মণ্ডপে হামলার ঘটনা ঘটে । সেদিন মণ্ডবের মুল ফটকের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা ও মণ্ডপে ইট পাটকেল ছোড়া হয় । এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার পুলিশ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় ৮৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা রুজু করা হয় । পাশাপাশি ৫০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিকে আসামি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

গতকাল রাতে যুব–ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করার বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, “ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হকের নেতৃত্বাধীন যুবছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাঁদের শনাক্ত করা হয়। ঘটনার দিন জুমার নামাজের পর মুসল্লিদের নিয়ে তাঁরাই মিছিল বের করেছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা স্বীকার করেছেন যে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য তাঁরা পূজামণ্ডপে হামলার চেষ্টা ব্যানার ভাঙচুর করেন।” 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *