জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল ডাটাবেজ তৈরির সময় এর সঙ্গে ২২টি আনুসাঙ্গিক বিষয় যুক্ত করা হয়েছিলো।
এই ২২ ধরণের সুবিধা বাস্তবায়ন করলে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্রটি হতো বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সুবিধা সম্পন্ন আইডি কার্ড।
কিন্তু বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে এর অনেকগুলো কার্যকারিতাই বাস্তবে প্রয়োগ করা যায়নি।
বর্তমানে জাতীয় পরিচয়পত্র শুধু অফিস আদালতে আনুসাঙ্গিক কাগজপত্রের মতো ফটোকপি করে জমা দেয়া হয়।
এটি ব্যক্তির পরিচয়যুক্ত ডিজিটাল কার্ড হলেও এটি তৎক্ষনাৎ ভেরিভিকেশনের কোন ব্যবস্থা ছিলো না।
ফলে নকল, ভুয়া পরিচয়পত্র দিয়েও কাজ চালিয়ে নেয়া যেত।
বর্তমান প্রক্রিয়ায়, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে লগ ইন করে সংস্থাগুলো জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ম্যানুয়ালি যাচাই করে থাকে।
আবার অনেক সংস্থা এনআইডি যাচাইও করে না, কারণ নির্বাচন কমিশনের এনআইডি ডেটাবেসে তাদের ঢোকার সুযোগ নেই।
তবে এই অবস্থার পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। ২৫ তারিখ প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের গেটওয়ে উন্মুক্ত করে দিতে যাচ্ছেন।
ফলে সরকারি ও বেসরকারি সব সংস্থা এটি ব্যবহার করে পরিচয় নিশ্চিত হতে পারবে। আগের মতো ৩ থেকে ৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে না।
জানা গেছে porichoy.gov.bd ‘পরিচয়’ হচ্ছে একটি গেটওয়ে সার্ভার, যা নির্বাচন কমিশনের জাতীয় ডেটা বেসের সঙ্গে সংযুক্ত।
এটি এমন একটি অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম, যা সরকারি, বেসরকারি বা ব্যক্তিগত যেকোনো সংস্থার গ্রাহকদের তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) যাচাই করে নিমেষেই সেবা দিতে পারবে।
এই আইডি যাচাইয়ের জন্য মানুষও লাগবে না। সফটওয়্যারের মাধ্যমে ‘পরিচয় গেটওয়ে’ সার্ভারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করলে জাতীয় আইডি শনাক্তের ফলাফল সঙ্গে সঙ্গে পেয়ে যাবে।
ফলে জাল আইডি হলে তা সঙ্গে সঙ্গে শনাক্ত হবে। প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, তৎক্ষনাৎ যাচাইয়ের ফলে দৈনন্দিন জীবনে বহু কাজে জাতীয় পরিচয়পত্র সরাসরি ব্যবহার করা যাবে।
উন্নত দেশের মতো, ট্রেনের টিকিট কাটা বা ব্যাংক একাউন্ট করাসহ ২২ ধরণের সুবিধা ধীরে ধীরে জাতীয় পরিচয় পত্রের সঙ্গে সম্ন্ময় করা সম্ভভ। ফলে পরিচয়পত্র হয়ে উঠবে আরো সক্রিয় ও প্রাণবন্ত।