যমুনা ওয়েব ডেস্ক: গত ২৩ জুলাই মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে শিমুলিয়ায় যাওয়ার পথে রো রো ফেরি শাহাজালা পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা খায়। সকল সোয়া নয়টায় এ ঘটনায় ঐ দিন ফেরি চালক হঠাৎ করে ফেরির ইলেকট্রিক্যাল সমস্যা হলে ফেরিটি পদ্মা সেতুর ১৭ নম্বর পিলারে ধাক্কা খায়।
ফেরির এই দুর্ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়। ঐ দিনের স্থানীয় সুত্রে জানা যায় ৩৫ জনের বেশী যাত্রী আহত হয়। তবে ফেরি চলাচলের দায়িত্বশীল ঘাট কর্তৃপক্ষ আহত বিষয়টি জানেন না। তারা বলেন সকল যাত্রীই নিরাপদে নামেন। ফেরিতে সেদিন পাারাপারের জন্য ৩৩ টি গাড়ি ছিল।
ফেরির এই দুর্ঘটনা নিয়ে ২৭ জুলাই একটি কমিটি গঠন করা হয়। মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর আলম গত বৃহস্পতিবার জানান আগামি দশ নিদের মধ্যে এই কমিটিকে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। সরজমিনে এই ঘটনার অনুসন্ধান করার জন্য চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
উচ্চ পর্যায়ের এই তদন্ত কমিটি ফেরি ব্যব্থাপনা উন্নয়ন, ফেরি নিরাপত্তা, ফেরি পরিচালনার ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর প্রণয়ন, ফেরি মেরামত. ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ ও ব্যয়ের কার্যকারিতা, ফেরির মাস্টার ও সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, নিয়োগপ্রক্রিয়া যাচাই করে রিপোর্ট প্রণয়ন করবেন।
প্রসঙ্গত এই রুটের রো রো ফেরি শাহ মখদুম ২০ জুলাই মঙ্গলবার ১০টার দিকে ধাক্কা লাগে। তখন ফেরিটির তলার কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ ফেরিটি পদ্মা সেতুর ১৬ নম্বর পিলারে ধাক্কা লাগে। তবে বিষয়টি নিয়ে ধোয়াশা ছিল। কোন কর্তৃপক্ষ এ ঘটনাটি স্বীকার করে না। পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ ঐ সময়ে ধাক্কার চিহ্নকে আগের চিহ্ন বলেন।
পদ্মা সেতুর পিলারে ২৩ জুলাইয়ের ফেরী ধাক্কা লাগার ঘটনায় স্থানীয় শিবচর থানায় একটি জিডি করা হয়। পরবর্তীতে শাহ জালাল ফেরির মাস্টার অফিসার আব্দুর রহমানকে শিবচর থানা পুলিশ আটক করে। সেতু বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর এ জিডির ভিত্তিতে ফেরিটির ফিটনেস, চালকের যথাযথ যোগ্যতা, শারীরিক সুস্থতা বা অন্য কোন অবহেলা ছিল কিনা দেখার জন্য ফেরি চালককে গ্রেফতার করা হয়।
সেতু বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আবদুল কাদের করা জিডিতে স্বীকার করা হয় পিলারের সঙ্গে এর আগেও ফেরির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সেতু বিভাগ থেকে এর আগে লিখিত ও মৌখিকভাবে সচেতনতার সঙ্গে ফেরি চলাচলের জন্য বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।