যমুনা ওয়েবডেস্ক: কোভিডি নিয়ে আতঙ্ক কোনভাবেই যাচ্ছে না। একের পর এক কোভিডের ঢেউয়ে পর্যুদস্ত মানবজাতি। পৃথিবীতে এ জাবত যতগুলো মহামারী এসেছে তারমধ্যে কোভিড-১৯ এর অবস্থান রয়েছে উর্দ্ধে। মানুষ চিকিৎসা বিজ্ঞানে যখন সফল তখনই কোভিড মহামারী দেখিয়ে দিল এ সফলতা কিছুই নয়।
কোভিড-১৯ এর থেকে বাচার জন্য বিজ্ঞানীদের গবেষনার ফল হিসাবে টিকা আবিষ্কার হলেও তার কার্যকরিতা এখন সর্বত্র প্রকাশ পাচ্ছে না। কোভিডের টিকা নিলেও আমেরিকায় ডেল্টা প্রজাতির আক্রমনের শিকার হচ্ছে। এমনকি অনেকের মধ্যে জলবসন্তের মতো অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
যারা টিকা নেননি তাদের মতোই সম হারে ডেল্টার সংক্রমণ ছড়াচ্ছেন কোভিড টিকাপ্রাপ্তরা। আমেরিকাকার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধক সংস্থা সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এর সমীক্ষায় উঠে এসেছে। আমেরিকার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম বলছে- করোনার আলফা রূপের থেকেও দশগুণ বেশি সংক্রামক ডেল্টা। এমনকি, করোনার আদি ধরনের থেকে বহুগুণ ছোঁয়াচে এটি।
করোনার এ ডেল্টা প্রজাতি ভারতে প্রথমবার ধরা পড়ায় একে ভারতীয় রুপ হিসাবে বলা হচ্ছে। ভারতীয় এই কোভিডের রুপ বি.১.৬১৭.২ ডেল্টা ভারতের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বের শতাধিক দেশে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। এরই মধ্যে বিজ্ঞানীরা বলছেন কোভিডের এই দ্বিতীয় ঢেউয়ের থেকে তৃতীয় ঢেউ হবে আরো শক্তিশালী।
ভারতীয় ভেরিয়েন্ট কি? এ প্রশ্নের জবাবে বিজ্ঞানীরা বলে যে কোন ভাইরাস ক্রমাগত তার নিজের ভিতরে মিউটেশন ঘটায়। যার ফলে একই ভাইরাসের নানা ধরন তৈরি হয়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নতুন সৃষ্ট ভাইরাস মূল ভাইরাসের থেকে দুর্বল ও কম ক্ষতিকর হয়।
কোভিড-১৯ এর ভারতিয় ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে দেখা যায় তার উল্টো। ভারতে এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায় অক্টোবর মাসে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এই ভ্যারিয়েন্টটি দেহে রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থায় তৈরি অ্যান্টিবডিকে পাশ কাটিয়ে যেতে ভাইরাসকে সাহায্য করতে পারে।