যমুনা ওয়েব ডেস্ক: গতকাল ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস পালন করা হয়। ২০১০ সালে পিটার্সবার্গে বাঘ দিবসের সুচনা করা হয়। সমস্ত বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালন হলেও ১৩টি দেশের বাঘের ঘনত্ব বেশী রয়েছে। বর্তমান বৎসরের বাঘ দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘বাঘ বাঁচাবে সুন্দরবন, সুন্দরবন বাঁচাবে লক্ষ প্রাণ’।
বিড়াল প্রজাতির মধ্যে সবথেকে বড় প্রাণী বাঘ। WWF এর তথ্য অনুযায়ী বাঘের ওজন ৩০০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। ২৬ বছর পর্যন্ত বাঘ বাচে। শিকারের জন্যই যেন বাঘের জন্ম এদের থাকায় রয়েছে তীক্ষ্ম নখ। পা বেশ শক্তিশালী। শিকার ধরাতে এদের জুড়ি নেই।
বিশ্বে ৩৯০০ এর অধিক বাঘ রয়েছে তার মধ্যে বাংলার বাঘ ২৫০০০ এর মত। যাদের বসবাস ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটানে। বিশ্বে ৬ টি প্রজাতির বাঘ রয়েছে। এছাড়া তিনটি প্রজাতি রয়েছে যা বিলুপ্তির পথে। ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় পশু বাঘ। বিশ্বের সবথেকে বেশি বাঘের অবস্থান ভারতে।
বাংলাদেশের সুন্দরবন অংশে বাঘ শুমারীর মাধ্যমে জানা যায় বর্তমান বৎসরে বাঘ রয়েছে ১১৪ টি। গত বৎসর থেকে ৮টিবাঘ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৭৫ সালে সুন্দরবনে বাঘ ছিল ৩৫০ট। পরবর্তীতে প্রত্যেক বৎসর বাঘ কমতে থাকে।
বাংলাদেশের তুলনায় ভারতীয় সুন্দরবন অংশে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেখানকার বন বিভাগ অনেকদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে ভারতের ভেতর পড়া সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা বাংলাদেশের তুলনায় দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনে পৃথিবীর ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। প্রতিবছর ঘুর্ণিঝড়ের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে দেখা দিচ্ছে নানা রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলোচ্ছ্বাস। জলবায়ু পরিবর্তনে অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টি- মানুষসহ পশুপাখির দেশের দক্ষিণাঞ্চলে টিকে থাকা কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। জোয়ারের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষি উৎপাদনও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সুন্দরবনের উপর একই সাথে মানুষের যথেচ্ছচারিতা বাঘের আবাসভূমিকে করছে ক্ষতিগ্রস্থ। বিশ্বে বাঘ দিবসের মাধ্যমে বাঘের বসবাসযোগ্য স্থানকে নিরাপদ করার কথা থাকলেও বাস্তবে তা হচ্ছে না। সুন্দরবের পাশে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি স্থাপনা আবাহাওয়ার পরিবর্তন আনছে। ফলে বাঘ সহ নানা প্রাণী স্থান ত্যাগ করছে।