যমুনা ওয়েব ডেস্কঃ প্রায় দুই দশক ধরে মার্কিন সেনার দখলে থাকা আফগানিস্তান এখন ফের তালিবান গোষ্ঠীর দখলে । সেই সাথে এবার সরাসরি পাকিস্তান এবং চীন মদত দিচ্ছে । ফলে আগামী দিনে আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ কোন পথে চালিত হতে চলেছে এখন সেটাই বিশ্ববাসীর কাছে প্রশ্ন ।
১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের সর্বময় ক্ষমতা ছিল তালিবান জঙ্গিগোষ্ঠীর হাতে । ২০০১ সালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ধ্বংসের পর আমেরিকা তাদের হটিয়ে দেয় । কিন্তু মার্কিন সেনা সরিয়ে নেবার ঘোষণা হতেই রাতারাতি আফগানিস্তানের ক্ষমতা সেই তালিবানদের হাতে চলে এল । এই প্রেক্ষাপটে তালিবান গোষ্ঠী দ্বিতীয় পর্যায়ে ক্ষমতায় আসার পর স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে আসছে, আফগানিস্তান কি তাহলে আবার সেই আগের জঙ্গিবাদী শাসনেই ফিরে যাচ্ছে?
তালিবান গোষ্ঠীর পরিচিতি একটি কট্টর ধর্মীয় মৌলবাদী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিসাবে । এরা ধর্মান্ধতার দোহাই দিয়ে একের পর এক জঙ্গি কার্যকলাপ করে আসছে । অন্যদিকে ওই দেশটির জনগণ বরাবরই শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। দীর্ঘকাল ধরে বস্তুত কুরআন পাঠই ছিল সেখানকার মূল শিক্ষা, যার রেশ এখনো কেটে যায়নি। ফলে ‘মোল্লা’ শ্রেণীর মানুষই এখানকার অভিভাবক। বস্তুত এই কারনেই গত দুই দশক ধরে তালিবান রাষ্ট্রক্ষমতায় না থাকলেও সমাজে এরা ভালোভাবেই টিকে ছিল।এই কারনেই মার্কিন বাহিনীর বড় অংশ চলে যাওয়ার পর তারা অনায়াসেই পুরো দেশ দখল করে নিতে পেরেছে ।
এদিকে আফগানিস্তানের ভৌগলিক অবস্থান বিচার করলে দেখা যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়া থেকে মধ্য এশিয়ায় প্রবেশদ্বার হিসাবে এই দেশ হয়ে উঠবে এ অঞ্চলের অন্যতম রাষ্ট্র।এদিকে তালিবানদের পাশে পাকিস্তান সরকার সরাসরি দাঁড়িয়েছে । অন্যদিকে চীন তালিবানদের ক্ষমতায় আসার পিছনে পুরোপুরি সমর্থন জানিয়েছে । ফলে আগামী দিনে ফের নতুন করে আফগানিস্তানের মাটিতে গৃহযুদ্ধের সুচনা কিম্বা জঙ্গি তৈরির আখড়া গড়ে ওঠার সম্ভবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না । ধর্মান্ধতা, মৌলবাদ ও জঙ্গিত্বপনাকে ভিত্তি করে এই দেশ কতখানি গণতান্ত্রিক হয়ে উঠবে সে বিষয়ে সন্দেহ থেকেই যায় ।