যমুনা ওয়েব ডেস্কঃ মঙ্গলবার খুলনা বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৩২ জন মারা গেছে। এই সময়ে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩ হাজার ৩৭১টি। করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৩৬৭ জনের। শনাক্তের হার ৪০.৫৫ শতাংশ। খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মোতাবেক এর ২৮ তারিখ সোমবার ৩০ জনের মৃত্যু হয়।
বাগেরহাট জেলায় ৫ জন, খুলনায় ৪ জন, কুষ্টিয়ায় ৪ জন, নড়াইলে ৩ জন, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরায় ২ জন করে, ঝিনাইদহ ও সাতক্ষীরায় ১ জন করে। গত কয়েকদিন করোনায় মৃত্যু ও শানাক্তের হারে বাগেরহাট। বাগেরহাটে বিভিন্ন স্থানে দেখা যায় জ্বর, কাশি সহ বিভিন্ন রোগী।বাগেরহাট জেলায় প্রশাসনের জোর তৎপরতা থাকলেও স্বাস্থ্য বিধি মানায় রয়েছে এক ধরনের উদাসীনতা। জেলা শহরের সব প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসানো হলেও মানুষ অনেকটা পুলিশ ফাকি দিয়েই যেন মজা পাচ্ছে। অনেকেই কোন রোগী না থাকলেও প্রেসক্রিপশন নিয়ে বেরোচ্ছে। মানুষ অপ্রয়োজনে বাইরে ঘোরাঘুরি করলে পুলিশ তাদের বোঝানর চেষ্টা করছে।
স্বাস্থ্য বিধি না মানায় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ভ্রাম্যমান আদালত প্রতিদিনই জরিমানা করছে। তারমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টেও দেখা যাচ্ছে দোকানের শাটার টেনে ভিতরে কাজ করতে। করোনার এই অবস্থায় সাধারণ জনগনের হয়েছে আরেক বিপদ। দেশে অসংখ্য নিবন্ধিত অনিবন্ধিত এনজিও মাইক্রোক্রেডিট পরিচালনা করে। এর মধ্যে কেউ সমবায়ের আড়ালে আবার কেউবা গ্রাম্য সুদের মত। সরকারের থেকে বিভিন্ন সময়ে কিস্তি নেয়া বন্ধ করার কথা বলা হলেও তা করা হচ্ছে না।
দেখা যাচ্ছে গ্রামের ভিতরে এনজিওরা এ ধরনের কাজ পরিচালনা করছে। বৃহৎ এনজিও গুলো যাদের ক্ষমতা আছে তারাও এসময়ে খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাড়াচ্ছে না। কয়েকদিন ধরে আলোচিত একটি বিষয় টাকা নয় টিকা দাও তেমনি দেখা যাচ্ছে এসময়ে অনেক এনজিও তার কাজের শর্ত পূরণ করার জন্য ল্যাট্রিন বা পানির ট্যাংকি দিচ্ছে। যখন মানুষের ঘরে চালের অভাব তখন তার কাজটির নীতির পরিবর্তন করা উচিত। কয়েক বছর ধরে তারা খাবার পানি, স্যানিটেশন নিয়ে কাজ করলেও এখন কোভিডের সময় সে তার সদস্যদের খাবার ব্যবস্থা করা উচিত।