ন্যায্য বিচার পাবেন প্রিয়ান্থা: চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতিকে ইমরানের ফোন!

আন্তর্জাতিক দিনকাল

যমুনা বাংলা ওয়েব ডেস্কঃ ধর্ম অবমাননার অভিযোগে পাকিস্তানে কর্মরত শ্রীলঙ্কান নাগরিক গার্মেন্ট কারখানার জেনারেল ম্যানেজার প্রিয়ান্থা কুমারা দিয়াওয়াদানাকে পিটিয়ে হত্যা ও তার মরদেহে আগুন দিয়েছে জনতা। এর ঘটনার প্রেক্ষিতে কড়া সমালোচনার শিকার হয়েছে পাকিস্তানি প্রশাসন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এই ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেবেন বলে জানিয়েছেন।

পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকশেকের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন ইমরান। এসময় শ্রীলঙ্কান প্রেসিডেন্টকে আশ্বস্ত করে ইমরান বলেন, প্রিয়ান্থার হত্যাকারীরা ক্ষমা পাবে না। ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১৮ জনকে আটক করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ এবং হত্যাসংশ্লিষ্ট সব তথ্যাদি নিরাপত্তা বাহিনী পর্যবেক্ষণ করছে।

ইমরান খান বলেন, প্রিয়ান্থা দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানকে সেবা দিয়ে আসছিলেন। তাঁর পেশাদারিত্ব তুলনারহিত। শুক্রবারের সেই মর্মান্তিক ঘটনায় কট্টরপন্থী তেহরিক-ই-লাব্বাইক এর সমর্থকরা ওই গার্মেন্ট কারখানায় হামলা চালায় এবং এর জেনারেল ম্যানেজার প্রিয়ান্থাকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ পুড়িয়ে দেয়। উল্লেখ, সেখানে কেউ নিজের পরিচয় গোপন করার চেষ্টা করেনি।

এর মধ্যেই পাকিস্তান সরকারের ওপর চাপ পড়ছে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য। প্রায় ৮০০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৩ জন প্রধান সন্দেহভাজন। এর মধ্যে ১১৮ জনকে আটক করা হয়েছে।

প্রিয়ান্থা কুমারা দিয়াওয়াদানা শ্রীলঙ্কার পেরাদেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। তাঁর স্ত্রী ও দুটি সন্তান আছে। তিনি ২০১০ সালে শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পাকিস্তানে যান। সেখানে ২০১২ সাল থেকে তিনি শিয়ালকোটের ওই কারখানায় ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন। লাহোর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরের শিয়ালকোটের রাজকো ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি জেনারেল ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন। ওই কারখানাটি তৈরি পোশাক ও স্পোর্টসওয়্যার প্রস্তুতকারী।

আরও পড়ুনঃ ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সেন্টমার্টিনে আটকা সহস্রাধিক পর্যটক।

শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ্র রাজাপাকশে আশা প্রকাশ করেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তাঁর কথা রাখবেন এবং এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার যথোপযুক্ত বিচার হবে।

সূত্র : ওয়ানইন্ডিয়া

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *