যমুনা ওয়েব ডেস্কঃ অতিমারি করোনা শুধু মানুষের জীবন ছিনিয়ে নেয়নি, সেই সাথে লাখ লাখ মানুষের কাজ কেড়ে নিয়েছে । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার বাধ্য হয়েছে লকডাউন কিম্বা শাটডাউনের পথে হাঁটতে । এবার এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই একটু স্বস্তির পরশ – আগামী রবিবার ১ লা অগাস্ট থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানাগুলি খোলার অনুমোদন ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার । ফলে কর্মহারা মানুষের একাংশের মুখে অন্তত হাসি ফুটতে চলেছে ।
গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মো: রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই অনুমোদনের কথা ঘোষণা করা হয়েছে । সেখানে জানানো হয়েছে, বর্তমানে করোনার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১ আগস্ট (রোববার) সকাল ৬টা থেকে রফতানিমুখী সব শিল্প-কারখানা বিধিনিষেধের আওতাবহির্ভূত রাখা হলো। ফলে যে সমস্ত শিল্প কারখানা রপ্তানিযোগ্য পণ্য তৈরি করত সেগুলি ফের চালু করতে আর বাঁধা থাকল না ।
বাংলাদেশের অর্থনীতির বিশাল একটা অংশ পোশাক বা গার্মেন্টস শিল্পের সাথে জড়িত । আর এই শিল্পের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে অসংখ্য মানুষের রুটি রুজির প্রশ্ন । করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর হাসিনা সরকার সব ধরনের শিল্প কারখানা বন্ধ রাখার বিষয়ে কঠোর মনোভাব দেখিয়েছে । যদিও গার্মেন্টস শিল্পসহ রপ্তানিমুখী একাধিক ক্ষেত্র থেকে সরকারের কাছে বারবার অনুরোধ করে আসছিলেন শিল্পমালিকরা।
জানা গেছে, রপ্তানিমুখী শিল্প মালিক সংগঠনের পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফের অনুরোধ করা হয় ।এই আবেদনের ভিত্তিতে শুক্রবার বৈঠক বসে । এই বৈঠকে ছিলেন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমইএ, ঢাকা চেম্বার ও এফবিসিসিআইয়ের নেতারা । তাদের সাথে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের আলোচনা হয় । সেখানে বনিক সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক বাজার হারানোর শঙ্কা, সাপ্লাই চেইন ভেঙে পড়া, বন্দরে জট, সার্বিক অর্থনীতিসহ সবকিছু বিবেচনা নিয়েই তারা এ অনুরোধ করছেন। এরপর সরকারিভাবে রবিবার থেকে শিল্প কারখানাগুলি খুলে দেবার অনুমোদন পাশ হয়েছে ।