দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে গত ৮ আগস্ট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের নিদেশনা প্রদান করা হয়েছে। চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে আগামি ১১ আগস্ট থেকে সব সরকারি-আধাসরকারি- স্বায়ত্তশাসিত অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট ও শপিং মল খোলা থাকবে।
মন্ত্রীপরিষদের নির্দেশনায় জানান হয় শতভাগ যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে। এ নির্দেশনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার বা বিনোদন কেন্দ্র খোলার বিষয়ে আদেশে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। চলমান লক ডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও মাস্ক পরিধান নিশ্চিত এবং স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে কঠোর হওয়ার কথা জানানো হয়।
মন্ত্রীপরিষদের এ নির্দেশনায় আটটি শর্তের কথা বলা হয়। ১.১ সব সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত/বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলা থাকবে। ১.২ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে। ১.৩. সড়ক, রেল ও নৌপথে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন/যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সড়কপথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দফতর/সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে। ১.৪. শপিং মল/মার্কেট/দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলা রাখা যাবে। ১.৫. সব ধরনের শিল্প-কলকারখানা চালু থাকবে। ১.৬. খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁয় অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। ১.৭. সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। এবং ১.৮. গণপরিবহন, বিভিন্ন দফতর, মার্কেট ও বাজারসহ যে কোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশে গণটিকা কর্মসূচী শুরু হওয়ার পর সরকারের থেকে প্রজ্ঞাপন জারী করা হয়। একই সাথে দেশে করোনার প্রাদুভার্বে মৃত্যুর সংখ্যা গত কিছুদিন ধরে একই রকম পর্যায়ে রয়েছে।
