ইভ্যালি, যুবক, ডেসটিনির মত সংস্থা আমাদের নিয়মিত নদীর কিনারে নিয়ে চলছে। অনেক যুবক চাকরী প্রত্যাশী। চাকরী না পেয়ে কিছু করার চেষ্টা করে। আর তারই সুযোগ নেয় এ জাতীয় প্রতিষ্ঠান। একই সাথে আছে আমাদের লোভ। বিশেষ করে কোভিড-১৯ চলাকালীন বিভিন্ন এপস, ওয়েবসাইট ভিত্তিক প্রতারণার পরিমান বেড়েছে। ডিজিটালি মানুষ সুফল ভোগ করার সাথে সাথে কুফল ভোগ করছে।
গত কয়েকদিন ধরে জানা যাচ্ছে ইভ্যালি ও আলেশা মার্টসহ দশটি ইকমার্সেসের সঙ্গে বাংলাদেশের কয়েকটি ব্যাংক ক্রেডিট, ডেবিট ও প্রিপেইপ কার্ডের লেনদেন বন্দ করেছে। আর যে আটটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তারা হলো- ই-অরেঞ্জ, ধামাকা শপিং, সিরাজগঞ্জ শপিং, আলাদিনের প্রদীপ, বুম বুম, কিউকম, আদিয়ান মার্ট ও নিডস ডট কম বিডি।
বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার মতে ব্যাংক এদের অনলাইন কেনাকাটায় গ্রাহকদের প্রতারিত হওয়ার খবরে সতর্কতা হিসাবে ব্যবস্থা নিয়েছে। ইভ্যালির ভাউচারে পন্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের পন্য দিচ্ছে না। তারা কারন হিসাবে বলছে ইভ্যালি তাদের পাওনা পরিশোধ করেনি। আবার ইভ্যালি থেকে চেক ব্যাংকে জমা দিলে জানা যাচ্ছে তাদের হিসাবে টাকা নেই।
ইভ্যালির গিফট ভাউচারে পন্য না দেয়ায় যেমন পন্য সরবরাহকারীরা সমস্যায় তেমনি গ্রহাকেরা হচ্ছেন প্রতারিত। বাংলাদেশের দূর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে ইভ্যালির বেশ কিছু আর্থিক হিসাবের গরমিল ফুটে উঠে। আজ সকাল থেকে দেশের কিছু খ্যাতনামা সংবাদ পত্রে ইভ্যালির অফিস বন্ধ তথ্য পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত এ সকল সংবাদপত্রে নিয়মিত ইভ্যালির গুনগান নিয়ে সংবাদ ও বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হতো।
ইভ্যালির ধানমন্ডির সোবাহানবাগের অফিসে অস্বাক্ষরকৃত নোটিশ ঝুলতে গ্রাহকরা দেখেন। সে নোটিশে বলা হয়েছে সশীরের গ্রাহক সেবা বন্ধ থাকবে কিন্তু অনলাইনে গ্রাহকসেবা ও পণ্য সরবরাহ চালু থাকবে। অনেক গ্রাহক টাকা ও পণ্য না পেয়ে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে এসে ভিড় করছেন। অকেক্ষন অপেক্ষার পর তারা নিরাশ হয়ে ফেরত আসেন।
ইভ্যালির কার্যালয়ের কাস্টমার কেয়ারে ফোন করে অনেক গ্রাহক কোন তথ্য পাচ্ছেন না। তবে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে সাক্ষাতকার দিতে গিয়ে গতকাল রাতে বলেন, “আমাদের কার্যালয় বন্ধ নেই। কলসেন্টার খোলা সকাল ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। পণ্য সরবরাহব্যবস্থাও চালু আছে। তবে করোনার কারণে কর্মীদের একটা অংশ বাসা থেকে কাজ করছেন।’