যমুনা ওয়েব ডেস্ক: করোনাভাইরাসের উর্ধ্বগতি কোনভাবেই যখন সামলান যাচ্ছে না তখনই আরেক উপসর্গ শুরু হয়েছে তা হল ডেঙ্গু জ্বর। বাংলাদেশে বিশেষ করে ঢাকায় এ পর্যন্ত সরকারের হিসাবে ১৫১ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। এ হিসাব শুধুমাত্র বিভিন্ন হাসপাতালে যারা ভর্তি তাদের।
চিকিৎসকরা মনে করেন একই ব্যক্তি একই সাথে কোভিড-১৯ ও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন। মশার প্রাদুর্ভাব এই মুহুর্তে কমাতে না পারলে পরিস্থিতি গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে। প্রত্যেকবৎসর জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়।
ডেঙ্গু ও কোভিড-১৯ এর কিছু উপসর্গ শুরু দিকে দেখা যায় যার মধ্যে মিল রয়েছে। এ কারনে জ্বরের উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকরা ডেঙ্গু ও কোভিড-১৯ এর পরীক্ষা একই সাথে করাচ্ছেন। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগীর জ্বর, গায়ে ব্যথা, মাথা ব্যথা এবং চোখের পেছনে ব্যথা থাকে। করোনা রোগীতে হাসপাতালগুলো পূর্ণ থাকায় এ ধরনের সাধারন লক্ষনে রোগী ভর্তি করা হয় না।
চিকিৎসকরা মনে করেন পরিস্থিতি যদি জটিলতার ইঙ্গিত দেয় তাহলে হাসপাতালে ভর্তি হতেই হবে। সেক্ষেত্রে অন্য কোনো বিকল্প নেই। ডেঙ্গু জ্বরের সাথে কোভিডের মূল পার্থক্য জ্বর, গলা ব্যথা, সর্দি, কাশি স্বাধ না থাকার পাশাপাশি ঘ্রাণ এবং পাতলা পায়খানা হলে কোভিড হয়েছে বলে ধারনা করা হয়।
ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রে চার-পাঁচ দিন পরে শরীরে লাল অ্যালার্জির মতো র্যাশ হতে পারে। তখন রক্তে প্ল্যাটিলেটের মাত্রা কমে যেতে পারে। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে ডেঙ্গু জ্বরের সময় অতিরিক্ত রক্তচাপ কিংবা হঠাৎ করে মাসিক হতে পারে। কোন রোগীর ক্ষেত্রে নাক দিয়ে রক্ত পড়া অথবা কালো পায়খানা দেখা দিলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
সরকারের বিভিন্ন দপ্তর সিটি কর্পোরেশন সহ মশা নিধরনের কার্যক্রম দায়িত্বে থাকেন। শহরের বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে এডিস মশার বংশ বিস্তার হয়। এডিস মশার জন্যই ডেঙ্গু জ্বর দায়ী। সরকারিভাবে ভ্রাম্যমান আদালতের পাশাপাশি মোবাইল ফোনে সতর্ক করা হচ্ছে। ঢাকা শহরের বাসিন্দাদের সতর্ক করার পাশাপাশি বলা হচ্ছে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে গতবারের চেয়ে বেশি জরিমানা করা হবে।