গত বুধবার বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের ইকমার্স ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আন্ত:মন্ত্রনালয়ের একটি সভা হয়। এ সভার শেষে মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক হাফিজুর রহমান বলেন ইভ্যালিকে যারা মূল্য দিয়ে পন্য পাননি তাদের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ দেওয়ার জন্য।
বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি ই কর্মার্স সাইটকে নিয়ে সরকারের কাছে অভিযোগের ভিত্তিতে বানিজ্য মন্ত্রনালয় কয়েক দফা বৈঠক করে। এর মধ্যে ই ভ্যালিকে তার হিসাব সহ বিভিন্ন কার্যক্রম জানানর জন্য বলা হয়। এরই মধ্যে যমুনা গ্রুপ ই ভ্যালিতে বিনিয়োগ করার ঘোষণায় গ্রাহকদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
বানিজ্যমন্ত্রনালয়ের এ বৈঠকে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ব্যাংক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা ছিলেন। তারা মনে করেন গ্রাহক ভোক্তা অধিদপ্তরে গেলে কি পরিমান কাস্টমান প্রতারিত হচ্ছে, কী ধরনের সমস্যা হচ্ছে, কত দায় দেনা আছে বোঝা যাবে।
প্রসঙ্গত ভোক্তা অধিদপ্তরে এরই মধ্যে ইভ্যালি নিয়ে ৬ হাজার ৭৫৭টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ১৪৫টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে ২ হাজার ৬১২টি মামলা। গত মার্চ মাসের ১৪ তারিখের এক হিসাব অনুযায়ী গ্রাহক ও মার্চেন্টের কাছে ইভ্যালির দায় ৪০৭ কোটি ১৮ লাখ ৪৮ হাজার ৯৯৪ টাকা। সেখানে ইভ্যালির সম্পদ ছিল ৬৫ কোটি ১৭ লাখ ৮৩ হাজার ৭৩৬ টাকা।
সম্পদ ও দেনার এই ঘাটতি থাকা স্বত্বেও ইভ্যালির পরিচালকবৃন্দ মনে করেন তারা দ্রুত গ্রাহকের পণ্য বুঝিয়ে দিতে পারবেন। তবে গ্রাহক পর্যায়ের তথ্যে দেখা যায় দেড় মাসের মধ্যে গ্রাহকের হাতে পণ্য দেয়ার কথা থাকলেও বছর চলে গেলেও দিতে পারছে না।
বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের চাহিদাকৃত তথ্য গত ১ আগস্ট দেয়ার কথা থাকলেও ইভ্যালি দিতে পারেনি। পক্ষান্তরে ইভ্যালিকে তথ্য দেয়ার জন্য আরো তিন সপ্তাহ সময় দেয়া হয়েছে। কিন্তু এই তিন সপ্তাহে ইভ্যালি হিসাব দিতে না পারলে বানিজ্য মন্ত্রণালয় কোন ধরনের ব্যবস্থা নিবেন তা এখনো চিন্তা করা হয় নাই।