যমুনা ওয়েবডেস্ক: গত দেড় বছর ধরে দেশের স্বাভাবিক জীপনযাত্রা থমকে গেছে। কখনো লকডাউন আবার কখনো শাটডাউন। কোন কিছু দিয়েই নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছে না কোভিডকে। প্রত্যেকদিন পুরাতনকে ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়ছে। শনাক্তের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে বাড়ছে মৃত্যু। করোনার এই উচ্চগতি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা ঈদের সময়ের ঝুকির কথা বলেছিলেন। তারপরও বিভিন্ন কারনে লকডাউন শিথিল করা হয়। গতকাল সোমবার মৃত্যুর সংখ্যা দাড়ায় ২৪৭।
সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫০ হাজার ৯৫২টি নমুনা পরীক্ষা করে রেকর্ড ১৫ হাজার ১৯২ জনের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। একই সময়ে রেকর্ড ২৪৭ জনের প্রাণ গেছে এ ভাইরাসের কারণে। মৃত্যুর পাল্লার সাথে শনাক্তের পাল্লা বাড়ছে।
দেশের সর্বত্রই সবুজ জোন থেকে রেড জোন হচ্ছে। বিভাগ ওয়ারী মৃত্যুতে দেখা যায় আবার ঢাকা বিভাগেই মৃত্যুর সংখ্যা বেশী। দিনের মৃত্যুর ৭২ জন ছিল ঢাকা বিভাগের। চট্ট্রগ্রাম বিভাগে ৬১ জন। মৃত্যুর সংখ্যায় না কমলেও অবস্থানগত দিক দিয়ে তৃতীয় খুলনা বিভাগে ৪৬ জন।
কোভিড-১৯ নিয়ে দেশের টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির কোরবানির সময়ে যে পরামর্শ ছিল তার অধিকাংশই মানা হয়নি। ফলাফলেও করোনার উর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। এরকম উর্ধ্বগতি থাকলে দেশের সামনের দিনগুলো আরো ভয়াবহ রুপ নেবে।
কুরবানী ঈদের পরে লকডাউন দেয়া থাকলেও মানুষ বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে ঢাকায় ঢুকছে। এতে স্বাস্থ্যবিধি মানা তো দূরে থাক আরো স্বাস্থ্য ঝুকি তৈরী হচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকলেও মানুষের ঢলে সবই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন আইনের আরো কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষা বাড়াতে হবে। একই সাথে টিকাদান কার্যক্রম জোড়ালো করতে হবে। অনেক অঞ্চলে ১৫ দিন আগেও টিকার আবেদন করে কোন মেসেজ না আসায় লোকজন টিকা কেন্দ্রে ভিড় করছে।
টিকার পাশাপাশি রয়েছে পরীক্ষার পদ্ধতি বিলম্ব। করোনার যখন পজেটিভ রিপোর্ট পাচ্ছেন রোগী তখন ৫ থেকে ৬ দিন অতিবাহিত হয়ে যাচ্ছে। এ সময়ে রোগী বিভিন্ন জনসমাগমের সাথে মিলিত হচ্ছে। যেখানে আমাদের দেশের চিকিৎসার সক্ষমতা কম সেখানে আমাদের নিয়ন্ত্রন করা ছাড়া উপায় নেই। উন্নত দেশগুলোর চিকিৎসা সক্ষমতা থাকা সত্বেও তারা করোনা নিয়ন্ত্রন করতে পারে নি।