বাংলাদেশে এই মুহুর্তে কোভিডে মৃত্যু গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। কিন্তু সোস্যাল মিডিয়া বা সর্বত্রই আছে এক পরীর গল্প। সাতক্ষীরা জেলায় জন্ম হওয়া ১৯৯২ সালের সেই ছোট্ট মেয়েটি ঢাকাই সিনেমায় অভিনয় করে যতটা আলোচিত হয়েছেন তার থেকে হচ্ছেন এখন আলোচিত।
প্রত্যেকটি মিডিয়ায় রয়েছে পরীমনি নিয়ে নতুন নতুন সংবাদ। অবৈধ মাদকদ্রব্য রাখা, পর্নোগ্রাফি, ব্লাকমেইলের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন শামসুন্নাহার স্মৃতি। প্রত্যেকটি কাজ সাজার যোগ্য বাংলাদেশ সহ সমস্ত বিশ্বে এই মুহুর্তে এই তিনটি কাজ সর্বোত্রভাবে চলছে।
তবে পরীমনি শিক্ষা জীবনে ছিলেন যথেষ্ট মেধাবী তিনি পঞ্চম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান। আর তার ট্যালেন্ট যে ছিল তা তিনি জীবনের পরবর্তী পর্যায়ে দেখিয়ে দেন। সিনেমা জগতে আসার আগেই তিনি একাধিক বিয়ে করেন। তার মায়ের আগুনে পুড়ে মৃত্যু নিয়ে রয়েছে রহস্য।
বাবার সাথে সাভারে থাকা অবস্থায় সেখানে কলেজে ভর্তি হন। এরই মধ্যে ২০১২ সালে সিলেটে তার বাবা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। শামসুন্নাহার এরই মধ্যে শুরু করেন তার পরীমনি হওয়ার জন্য স্বপ্নের পথে হাঠা।
২০১১ সাল থেকে নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বুলবুল একাডেমি অব ফাইন আর্টসে (বাফা) নাচ শিখতে ভর্তি হন। ২০১৫ সালে সেই সিনেমার নায়িকা হওয়ার মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয় এক পরীমনির। হারিয়ে যায় শামসুন্নাহার স্মৃতি।
সিনেমা পাড়ায় পরীমনি ছিলেন আলোচিত তার বেপরোয়া জীবন নিয়ে। ২০১৬ সাল থেকে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হতে থাকেন। বিভিন্নভাবে আসতে থাকে তার বিয়ের তথ্য।
ক্ষমতার প্রয়োজনে তিনি গড়ে তোলেন ক্ষমতাসীনদের সাথে সম্পর্ক। কখনো প্রযোজক, কখনো পরিচালক আবার কখনো রাজনৈতিক নেতাদের সাথে। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরেই চলতে থাকে তার সিড়ি বেয়ে পথ চলা।
পরীমনি কান্ডে বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন সুরে কথা বললেও সবথেকে সময়পোযোগী কথা বলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি পরীমনি গ্রেফতার হওয়ার পর বলেন “যে সকল ব্যবসায়ী পরীমনিকে অর্থ দেন বা তার পেছনে বিনিয়োগ করেন-তাদের কাছ থেকে ভ্যাকসিনের দাবি করেন”
যখন মানুষ কাজ হারিয়ে হতবিহব্বল তখনকার সময়ে পরীমনিরা তাদের জালে আটকিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়ছে। এই পাহাড় সমান অর্থ মানুষের মঙ্গলের জন্যই ব্যবহার করা উচিত।