যমুনা ওয়েব ডেস্কঃ করোনা সংক্রমণের সাথে সাথে গতবছর থেকে বাংলাদেশীরা আংশিক লকডাউন, পূর্ণাঙ্গ লকডাউন, লকডাউন শব্দগুলোর সাথে পরিচিত। এবার তার সাথে আরও একটা নতুন শব্দ যুক্ত হল – শাটডাউন ! হ্যা, করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার এবার কোন ফাঁক রাখতে চাইছেন না । ফলে এবার আর ফাকি দিয়ে লকডাউনে কিভাবে বাজারে যাওয়া যায় বা বাজারের প্যাকেট হাতে রেখে আবার কেউ প্রেসক্রিপশন হাতে রেখে প্রশাসনকে ফাকি দিয়ে চলার দিন থাকছে না । শাটডাউন মানে সব কিছুই বন্ধ !
প্রশাসনকে ফাকি দিতে গিয়ে এখন কোভিডে আক্রান্তের হার ৫০ শতাংশ কাছাকাছি চলাচল করে। আর কোভিড রোগী মনে করেন দেশটাতো স্বাধীন আমি একটু বেড়িয়ে আসি। অনেক কোভিড রোগী তিনি জেনেই একটু মিষ্টির পরিবর্তে কোভিড নিয়ে আত্মীয় বাড়িতে যান। কোভিড যেমন বাংলাদেশে এসে লজ্জা পাচ্ছে তেমনি লকডাউনও। সীমিত পরিসরে লকডাউন থেকে ঢিলেঢালা লকডাউন। আবার সাধারণ লকডাউন থেকে এলাকা ভিত্তিক লকডাউন। সর্বাত্মক লকডাউন থেকে কঠোর লকডাউন।
অনেক রসিক ব্যক্তি মনে করেন লক ডাউন শব্দের অর্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাদে আর সকল কিছু স্বাভাবিকভাবে চলাকে লকডাউন বলে। এবার শোনা যাচ্ছে বাংলাদেশের বিশেষ করে দক্ষিনাঞ্চলে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় আসতে চলেছে ১৪ দিনের শাটডাউন। করোনাভাইরাস এর সংক্রমণজনিত রোগের বিস্তার রোধে কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ সভাপতিত্বে ১৪ দিনের সম্পূর্ণ শাটডাউনের সুপারিশ করা হয়। কোভিডের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রনে না আসায় এ শাটডাউন হতে পারে বলে জানা যায়।
শাটডাউন বলতে বোঝায় সব কিছু বন্ধ। আর এই বন্ধ মানে দোকান পাঠ সব কিছুই বন্ধ থাকবে। জরুরী সেবা চালু থাকবে। অফিস-আদালত, বাজার-ঘাট, গণপরিবহনসহ সব বন্ধ থাকবে। সবাই বাসায় থাকবে। এর পূর্বে দিল্লি এবং মুম্বাইতে শাটডাউন দিয়ে ফলাফল পেয়েছে। সেখানে ছয় সপ্তাহ গণপরিবহন বন্ধ ছিল, এছাড়া দিল্লিতে আরও তিন সপ্তাহ ছিল।