যমুনা ওয়েব ডেস্কঃ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ অব্যাহত । এরই মধ্যে করোনার নতুন ভ্যারিয়েণ্ট ডেল্টার হাত ধরে তৃতীয় ঢেউয়ের হাতছানি । এই পরিস্থিতিতে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন জানালেন, ২১ কোটি করোনা ভ্যাক্সিনের ডোজ নিশ্চিত করা গেছে । যার মধ্যে চীনের ৩ কোটি, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি, কোভ্যাক্সের ৭ কোটি ডোজ, রাশিয়ার ১ কোটি ডোজ ও জনসন অ্যান্ড জনসনের ৭ কোটি ডোজ রয়েছে।
প্রায় এক মাস ধরে বাংলাদেশ সরকার করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রনে শাটডাউনের পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছে । বিশেষজ্ঞদের মতে করোনার প্রতিরোধ করতে একমাত্র টিকাকরনের উপর জোর দিতে হবে । সেই সাথে সঠিকভাবে করোনা বিধিকে মান্যতা দিতে হবে । অথচ, বাংলাদেশে লাখ লাখ মানুষ করোনার প্রথম ডোজ নেবার পর দ্বিতীয় ডোজের জন্য প্রতীক্ষায় আছেন । কিন্তু করোনা ভ্যাক্সিনের অপ্রতুলতা স্পষ্টভাবে প্রকাশিত । এই অবস্থায় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর তরফ থেকে ২১ কোটি করোনা ভ্যাক্সিনের ডোজের নিশ্চিতকরন অনেকটা স্বস্তি নিয়ে এল ।
গতকাল শনিবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশনের সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে ভার্চুয়াল আলোচনায় বসেন । সেই সভায় তিনি এই ২১ কোটি ভ্যাক্সিনের কথা জানিয়েছেন । গতকালের সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী বছরের সেকেন্ড কোয়ার্টারের মধ্যে জনসনের ভ্যাকসিন দেশে আসবে। এই ২১ কোটি ডোজ যদি সমযমত পাই তাহলে ৮০% মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া যাবে।” এদিন তিনি আরও জানান, “ করোনাভাইরাস মহামারিতে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে দায়িত্বপালনকারী চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও শিক্ষক এদের আগে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া তাদের পরিবারের আঠারো বছরের ঊর্ধ্বে যেসব সদস্য আছে তাদেরকেও টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে।”