বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস মতে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। যার কারনে সারা দিন থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে। উপকূলে ঝড়ো হাওয়ার শঙ্কায় সমুদ্রবন্ধরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে।
আবাহাওদপ্তরের আবাহাওয়াবিদ মো: আব্দুল হামিদ মিয়া এসময়ে গণমাধ্যমকে জানান, সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য রয়েছে। এছাড়া গভীর সঞ্চারণশীল মেঘ রয়েছে। যে কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সাগরে ৬৫ দিন পরে জেলেরা মাছ ধরতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিলেও লঘুচাপের কারনে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় তাদের সতর্ক করা হয়েছে। একই সাথে উত্তর বঙ্গোপসাগরে পূর্বের থেকে মাছ ধরা নৌকা বা যে ট্রলারগুলো রয়েছে তাদের পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে।
লঘুচাপের কারনের দেশের প্রায় সর্বত্রই বৃষ্টির পরিমান বেড়েছে। একই সাথে বৃষ্টির সাথে বাতাসের দাপট দেখা যাচ্ছে। আবাহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমোতাবেক দক্ষিনাঞ্চলের কোথাও কোথাও ভারিবর্ষন হতে পারে। এ সময়ে ধারনা করা হচ্ছে বাতাদের গতিবেগ ১০ থেকে ১৫ কি.মি. হতে পারে। দমকা বাতাত যা ২৫ কি.মি. পর্যন্ত উঠতে পারে। এই লঘুচাপের কারনে আগামি তিন দিন বৃষ্টির প্রবণতা বাড়বে।
নদীবন্দরগুলোতে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আবাহাওয়ার রিপোর্টে দেখা যায়, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে ঝাড়খন্ড ও তৎসংলগ্ন ছত্রিশগড় ও উড়িষ্যায় অবস্থান করছে। লঘুচাপের বর্ধিাতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ুর প্রভাব রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশে দেখা দিতে পারে কারন মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিাতাংশে রয়েছে। সুস্পষ্ট এই লঘুচাপ যার কেন্দ্রস্থলে রয়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত।